ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

খোকসায় ২`শ হেক্টর জমিতে গমের আবাদে সাফল্য

রঞ্জন ভৌমিক 

প্রকাশিত : ০৮:০১ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার

কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ, আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও গমের দাম বাজারে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এ বছর কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়  লক্ষ্য মাত্রা থেকেও ২শ হেক্টর জমিতে বেশি গমের আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গমের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২০ হেক্টর অপরদিকে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। 

 আরও জানা গেছে, ১ হাজার ৯১০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।  এ বছর গম চাষে ব্লাস্ট প্রতিরোধ গমের বীজ বিতরণ করায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকের জমিতে গমের আবাদ ভালো হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ উপসহকারী কর্মকর্তাদের সময় মত কৃষকদের মাঝে পরামর্শ ও গমের জমিতে সেচ, সার সঠিকভাবে প্রয়োগ করায় বিঘা প্রতি অন্তত দুই মন করে গম বেশি হবে বলে জানান তারা ।

উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল হায়দার  প্রতিবেদককে জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিনামূল্যে গমের বীজ ও রাসায়নিক সার পেয়ে ২ বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছি। পাশাপাশি একবার সেচ ও সার প্রয়োগ করা হয়েছে। গড়াই নদীর কূল ঘেঁষা জমিতে উর্বর মাটি হওয়ায় এবার গম খুব ভালো হবে বলে ধারণা করছেন তিনি ।

গোপগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক রঞ্জিত মল্লিক   সরকারের দেওয়ার বিনামূল্যে গমের বীজ ও সার পেয়ে পদ্মার কুলভাসা এক বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। অনেক সুন্দর গম হয়েছে । আবহাওয়া ভালো থাকলে আশার থেকেও বেশি ফলন পাবে বলে বিশ্বাস করেন ।
ওসমানপুর ইউনিয়নের কৃষক ভোক্তার জানান ,উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে উপসহকারী কৃষি অফিসাররা আমাদেরকে যেভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সেভাবে আমরা গমের আবাদ করেছি। আশা করি এবার আমাদের গমের বাম্পার ফলন হবে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা বলেন, কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে উচ্চ  ফলনশীল গমের বীজ ও রাসায়নিক সার ১ হাজার ৯২০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে এ সকল কৃষকদের মাঠে বপন করা গমের প্রতিটা মুহূর্ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিটা মুহূর্ত কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন  । রোগ হলে তাৎক্ষণিক তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করছেন। আশা করি এ বছর লক্ষ্যমাত্রা থেকেও অধিক পরিমাণ গমের ফলন হবে। খাদ্য ভান্ডার সমৃদ্ধি হবে। কৃষকরা লাভবান হবে।