ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

রিকশাচালকের এমএ পাস স্ত্রীকে চাকরি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:০৯ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার

বগুড়া জেলার রিকশাচালকের এমএ পাস করা স্ত্রী সিমানুরকে চাকরি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক অবস্থা যাতে শক্তিশালী করতে পারেন সেজন্য পেলেন একটি ল্যাপটপ।

সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম তাকে কালেক্টর পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান করেন।

বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের ফেরদৌস যখন বিয়ে করেন তার স্ত্রী সিমানুর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে দেয়া কথা ফেরদৌস রেখেছিলেন। রিকশায় স্ত্রীকে কলেজে পৌঁছে দিয়ে তিনি নিজে রিকশা চালিয়ে সংসারের বোঝা টেনেছেন। 

স্ত্রীকে এমএ পাস করিয়ে রিকশা চালানোর পাশাপাশি স্ত্রীর জন্য চাকরি খোঁজেন ফেরদৌস।

এ দম্পতির সংগ্রামী জীবনকথা নিয়ে একটি প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর নজরে আসে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। বগুড়া জেলা প্রশাসককে খোঁজখবর নিতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বার্তা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বগুড়া জেলা  প্রশাসক প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম সোমবার তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে দেরি করেননি। 

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে দম্পতিকে ডেকে সব কথা শোনেন জেলা প্রশাসক। পরে সিমানুরের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে আসার পর ভাগ্য বদলে যায় প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র পরিবারটির। রিকশাচালক ফেরদৌস মন্ডলের স্ত্রী এখন বগুড়ার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক। 

চাকরির সঙ্গে মিলেছে সিমানুরের স্বামী রিকশাচালক ফেরদৌস মণ্ডলের রিকশা কেনা ও ঋণ পরিশোধের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বাড়ি সংস্কারের টিন ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে রিকশা চালকের উচ্চশিক্ষিত স্ত্রী যেন শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তিতে পৌঁছাতে পারেন সে জন্য পেলেন একটি ল্যাপটপ।

জেলা  প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম  জানান, এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। 

নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে তিনি স্কুলে গিয়ে সহকারী স্কুল শিক্ষক পদে যোগদান করেন। রিকশাচালক ফেরদৌস মন্ডলের স্ত্রী এখন বগুড়ার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক। 

চাকরির পাশাপাশি সিমানুর এখন বিসিএস’র জন্য প্রস্তুতি নিতে চান। তিনি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা কৃতজ্ঞতার কথা পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানান। 

এএইচ