ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মাশরাফির দল সিলেটকে হারিয়ে শুভ সূচনা চট্টগ্রামের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৭ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার | আপডেট: ০৯:৫০ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার

দুই ব্যাটার শাহাদাত হোসেন ও আফগানিস্তানের নাজিবুল্লাহ জাদরানের দুর্দান্ত জুটিতে জয় দিয়ে  বিপিএলের দশম আসর শুরু করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। 

১৭৮ রানের টার্গেটে চতুর্থ উইকেটে ৬৮ বলে ১২১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন শাহাদাত ও নাজিবুল্লাহ। শাহাদাত ৫৭ ও নাজিবুল্লাহ ৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।

শুক্রবার রাতে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রাম। ব্যাট হাতে সিলেটকে ৫০ বলে ৬৭ রানের শুভ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান তোলেন তারা।

নবম ওভারে সিলেটের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন চট্টগ্রামের বাঁ-হাতি স্পিনার নিহাদুজ্জামান। ৭টি চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করা শান্তকে শিকার করেন তিনি।

শান্ত ফেরার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি মিঠুনও। আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে আউট হবার আগে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৮ বলে ৪০ রান করেন মিঠুন।

১২তম ওভারে দলীয় ৯৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিন নম্বরে নামা জাকির হাসান। ক্যাম্ফারের করা ১৪তম ওভারে ৩টি চারে ১৭ রান তুলেন জাকির। ১৭তম ওভারে টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ অর্ধশতক পূর্ণ করতে ৩১ বল খেলেন জাকির।

হাফ-সেঞ্চুরির পর আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টরের সাথে শেষ ৪ ওভারে ৪৩ রান যোগ করেন জাকির। এতে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৭৭ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। তৃতীয় উইকেটে জাকির-টেক্টর ৪৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮২ রান যোগ করেন।
টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন জাকির। ২০ বলে অপরাজিত ২৬ রান করেন টেক্টর। 

১টি করে উইকেট নেন চট্টগ্রামের নিহাদ ও ক্যাম্ফার।

১৭৮ রানের টার্গেটে তৃতীয় ওভারে জিম্বাবুয়ের পেসার রিচার্ড এনগারাভার বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরেন তানজিদ হাসান। সতীর্থকে হারালেও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে চট্টগ্রামকে ৫৬ রান এনে দেন আরেক ওপেনার শ্রীলংকার আবিস্কা ফার্নান্দো। 

সপ্তম ওভারে আবিস্কাকে বোল্ড করে সিলেটকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার নাজমুল ইসলাম। ২৩ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন আবিস্কা। অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১১ রান করা ইমরানউজ্জামান শিকার হন ম্যাশের।

১৩তম ওভারে তানজিম হাসানের হাতে ব্যক্তিগত ১৮ রানে জীবন পান চট্টগ্রামের আফগানিস্তানী ব্যাটার নাজিবুল্লাহ জাদরান। জীবন পেয়ে শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে চট্টগ্রামের জয়ের পথ পরিস্কার করেন নাজিবুল্লাহ। ১৭তম ওভারে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান ৩৫ বল খেলা শাহাদাত।

জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ২৯ রানের সমীকরণ দাঁড় করায়  চট্টগ্রাম। তানজিমের করা ১৮তম ওভারে ১৫ রান নেন শাহাদাত-নাজিবুল্লাহ। ১৯তম ওভারে মাশরাফির প্রথম তিন বলে ১৬ রান তুলে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন দু’জনে। ৬৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ১২১ রানের জুটি গড়েন তারা।

৪টি করে চার-ছক্কায় শাহাদাত ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৭ এবং ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩০ বলে অনবদ্য ৬১ রান করে ম্যাচ সেরা  নির্বাচিত হন  নাজিবুল্লাহ।

৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

এএইচ