নোয়াখালীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার
নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূ (১৯) ও পল্লী চিকিৎসককে (২৯) অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভিডিও ধারণের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এরআগে শুক্রবার দিবাগত রাতে নেয়াজপুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদার ১০ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের টপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন নেয়াজপুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের হারুনের ছেলে আফনান হোসেন শুভ (২০) ও একই গ্রামের আহম্মদ উল্যার ছেলে রহুল আমিন (৩৫)।
পুলিশ জানায়, গত ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর রাতে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর ছেলে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পূর্বপরিচিত পল্লী চিকিৎসকে দোকান বন্ধ করে যাওয়ার পথে তার বাড়িতে ওষুধ দিয়ে যেতে বলেন। রাতে ওই চিকিৎসক গৃহবধূরকে ওষুধ দিয়ে যাওয়ার সময় বখাটে আফনান হোসেন শুভ ও রুহল আমিনসহ কয়েকজন তার গতিরোধ করে।
পরে তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূর ঘরে নিয়ে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে বখাটেরা চিকিৎসক ও গৃহবধূকে হুমকি ধমকি দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
বখাটেরা তাদের মোবাইলে ধারণকৃত সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিভিন্ন এসময় ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগদে চার লাখ এগার হাজার টাকা ও তিন আনা স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে যায় বখাটেরা।
এরপর তারা আরও টাকা দাবি করলে ভুক্তভোগী চিকিৎসক এ বিষয়ে আইনি সহযোগিতার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। শুক্রবার দিবাগত রাতে দেবীপুর গ্রামের কালা মিয়া মুন্সি বাড়ির সামনে থেকে আসামি শুভ ও রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে বিবস্ত্র ভিডিও ধারণকৃত দুটি মোবাইল, ১০ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের দুল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
এএইচ