ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে বর্ণিল আয়োজনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পিঠা উৎসব

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:৫৯ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৪ রবিবার

নতুন বছরে শীতকে বরণ করে স্কুল শুরু হয়েছে। হাতেখড়ি শিখতে স্কুলের বারান্দায় পা দেওয়া শিক্ষার্থীদের বাহারি পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিত করাতে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণিল পিঠা উৎসবের। লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে পৌর শহরের জে.বি রোডস্থ মাঠে এমন উৎসবের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে পিঠার স্বাদ নেয়ার পাশাপাশি আনন্দ উল্লাসে মেতে ছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। 

সকালে দিনব্যাপী জমকালো এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রফেসার রফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সবুজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম শিবলু সহ অনেকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৃথক পৃথক স্টলে নানা রকম পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কতিপয় পিঠা একেবারেই নতুন আবার কিছু অতিপরিচিত। প্রতিটা পিঠার ওপরে লেখা আছে পরিচিতি নাম। এসব পিঠার নামও বেশ বাহারি। শিশুরা বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরে দেখছেন স্টল। জানছেন নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে। এ সময় পুরো স্কুল মাঠ রূপ নিয়েছে অন্যরমক মিলনমেলায়।

পিঠা উৎসবে প্রায় অর্ধশত পৃথক স্টলে ছিল ভাপাপুলি, দুধপুলি, আওলা কেশরি, পুলি, ঝিনুক, পাটিসাপটা, জামাই সোহাগী, গোলাপ, চিতই, কানমুচরি, পায়েস, পুডিং, তেল পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, ক্ষির, মুঠা পিঠা, রস গোলাপ ও কেকসহ শতাধিক পিঠাপুলি।

জানা-অজানা পিঠার সম্পর্কে জানতে পেরে এবং স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা।

পিঠা উৎসবে আনন্দে মেতে থাকা পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাবাসসুম বলেন, এখানে এসে আমরা অনেক আনন্দ পাচ্ছি। অনেক রকম পিঠা খেতে পারছি। আমাদের অনেক ভালো লাগছে।

নাইমা জান্নাত নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের স্কুলে প্রতিবছরই এমন সুন্দর আয়োজন করে আসছে। এখানে অনেক রকম পিঠার সঙ্গে পরিচিত হলাম। নতুন নতুন পিঠা খেলাম। অনেক ভালো লাগছে।

মাঘের শীতে এমন ব্যতিক্রম আয়োজনে খুশি অভিভাবক ও স্থানীয়রা। তাদের চাওয়া প্রতি বছরই যেন এমন আয়োজন করা হয়।

মাসুদুর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সন্তানরা হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠা সম্পর্কে জানতে পারবে।

তানিয়া আক্তার নামে আরেক অভিভাবক বলেন, সন্তানদেরকে নিয়ে এসেছি। তারা অনেক আনন্দ করছে। দেখে অনেক ভালো লাগছে।

ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজর উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সবুজ বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠাদানের পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা করতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছরই আমাদের এমন আয়োজনে হাজার-হাজার লোকের সমাগম হয়। এই আয়োজন একটি মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

এমএম//