অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার (ভিডিও)
মুহাম্মদ নূরন নবী
প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার
বাজারে নিত্যপণ্যের কোনো সংকট নেই। মজুতদার ও মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার। কাউকে মনোপলি ব্যবসার সুযোগ দেয়া হবে না। প্রয়োজনে সামান্য কিছু পণ্য বিভিন্ন উৎস থেকে আমদানিও করা হবে। এসব উদ্যোগ জানিয়ে খুব শিগগিরই দাম সহনীয় পর্যায়ে আসার আশ্বাস দিলেন অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। বললেন সরকারের ওপর আস্থা রাখার কথাও।
চাল, ডাল, শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিতে দেশজুড়ে সমালোচনা। ভোক্তাদের স্বস্তিতে রাখার উপায় খুঁজতে খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বাণিজ্যমন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসলেন নতুন অর্থমন্ত্রী।
জানালেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই। যারা সংকট সৃষ্টি করছে, করতে চায়, সেসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে কঠোরভাবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, “চিন্তার কোনো কারণ নেই, দরকার হলে অনেক কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।”
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, “কিছু মধ্যসত্ত্বভোগী আছে, কিছু মতলববাজী, যারা কারসাজি করে তারা আছে- এই শ্রেণীর সৃষ্ট কৃত্রিম সংকটের কারণে আমরা মাঝেমধ্যে এই ধরনের বিপদে পড়ি।”
মাঠে কৃষক ঠিকই দাম পাচ্ছে, শহরে এসে কেন দামের সমস্যা হচ্ছে, এ নিয়ে কাজ করছে। প্রয়োজনে জড়িত ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের সব লাইসেন্স বাতিলেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
আব্দুর রহমান বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ছাড়পত্র বন্ধ করা হবে। পরিসংখ্যান আছে, কোনো কিছুতেই সংকট নেই।”
ডলার সংকটে পণ্য আমদানিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আটটি নিত্যপণ্যে ১৫ শতাংশ এলসি খোলা শেষ হয়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আব্দুর রউফ বলেন, “১৫ শতাংশ এলসি বেশি খোলা হয়েছে।”
দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় না দেয়ার কথাও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এএইচ