পরকীয়ার দ্বন্দ্বে অটোচালক সাদ্দাম খুন, ঘাতক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:৫৬ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে চাঞ্চল্যকর অটোররিকশা চালক সাদ্দাম হোসেন (৩০) হত্যা মামলার মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার রাতে জেলা শহরের ভাদুঘর এলাকায় পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার শচীন চাকমা।
তিনি জানান, শুক্রবার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দৌলতপুরের আশ্রাফপুর গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক বাবুলকে নরসিংদীর জেলার শিবপুর থানার ইটাখোলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে পুলিশের কাছে প্রাথমিক হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি দেয় সে।
নিহত সাদ্দাম ও ঘাতক বাবুল এক অপরের ভায়রাভাই।
জবান বন্দিতে ঘাতক বাবুল জানায়, বাবুলের স্ত্রী শায়েস্তারার সাথে নেত্রোকোনা জেলার কাদের মিয়ার পরকীয়া প্রেম ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শায়েস্তারা কাদের মিয়ার সঙ্গে পালিয়ে নরসিংদীতে পাড়ি জমায়। পরে বাবুল তার স্ত্রীকে অবৈধ সম্পর্ক থেকে ফিরিয়ে আনতে শায়েস্তারার ছোট বোন লাভলী আক্তার ও তার স্বামী সাদ্দামের কাছে সহযোগীতা চান।
কিন্তু সাদ্দাম ও তার স্ত্রী শায়েস্তারার পক্ষ নিয়ে বাবুলকে সহায়তা করেননি। এতে বাবুল ক্ষুদ্ধ হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাদ্দামকে একটি জমিতে ডেকে নিয়ে গলাঁয় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দৌলতপুরের আশ্ররাফপুর গ্রামের বিলের জমি থেকে অটোচালক সাদ্দামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার বিদ্যাকূট গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহতায় বাবুলকে নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করে। বাবুল নেত্রকোনা জেলার সদর থানার খায়ের বাংলা মধ্যপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
এএইচ