ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ১৪ জন ধরা পড়লো র্যাবের জালে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার
যাত্রী কিংবা কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মিদের সহায়তায় তারা সংগ্রহ করতো ট্রেনের টিকিট। পরে চড়া দামে বিক্রি করা হতো কালোবাজারে। এই টিকিট কালোবাজারি চক্রের দুই হোতাসহ ১৪ জন ধরা পড়লো র্যাবের জালে। এসময় জব্দ করা হয় এক হাজার দুইশ’ ৪৪টি ট্রেনের টিকিট, ১৪টি মোবাইল ফোন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
অনলাইনে বা কাউন্টারে বিক্রির শুরু হওয়ার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায় ট্রেনের টিকিট। এমন অবস্থায় ট্রেনের টিকিটি কালোবাজারি বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান চালায় তারা। গ্রেফতার করা হয় সেলিম সিন্ডিকেটের হোতাসহ দশ জনকে। তদের দেয়া তথ্যে অভিযান চালানো হয় বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায়। গ্রেফতার করা হয় সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ চার জনকে।
অনলাইনে টিকিট বিক্রির ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কম এর কিছু কর্মচারীর সহায়তায় সার্ভারে সংরক্ষিত বিভিন্ন জনের এনআইডি ব্যবহার করে টিকিট সংগ্রহ করতো এই চক্রটি।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম সিন্ডিকেটের মূল হোতা গ্রেফতারকৃত সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত উত্তমের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন যাবত মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল।
এএইচ