ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ফাইলবন্দি রাজধানীর যানজট নিরসনের সব নির্দেশনা

মাহমুদ হাসান

প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার | আপডেট: ১২:৪৪ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার

রাজধানীর যানজট কমাতে প্রথমেই শৃঙ্খলায় আনতে হবে গণপরিবহনকে। দখলমুক্ত করতে হবে সব ফুটপাট। পাশাপাশি ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করাও জরুরি। এছাড়া নতুন প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ট্রাফিক আইন ও সড়কের ব্যবহার নিয়ে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে বিশেষ অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো আধুনিক অবকাঠামো বিস্তৃত করার পরামর্শও তাদের। 

রাজধানীতে যানজট কমাতে বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়কে রিক্সা চলাচল ও যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ, সিএনজি চালিত অটোরিক্সার জন্য আলাদা লেন তৈরি এবং সড়কের মোড়ে মোড়ে গণপরিবহন না থামার জন্য আইন ও নির্দেশনা থাকলেও এখনো তা কার্যকর হয়নি। সবই ফাইলবন্দি।

এদিকে, যাদের চোখে এসব অনিয়ম ধরা পড়ার কথা, তাদের সামনেই ঘটছে অনিয়ম। চলছে আইন ও নিয়ম ভাঙ্গার উৎসব। নির্বিকার তারা। অনেকের অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশে অদক্ষতার কারণে যানজট তৈরি হয়। আর চালকদের দায়িত্বহীনতা ও বেপরোয়া আচরণ তো আছেই।

সড়কের যানজট কমাতে ইতোমধ্যেই মেট্রেরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। এ ধরনের আরও প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ শহরের যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।

বুয়েট এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. শাহনেওয়াজ রাব্বি বলেন, “মানুষ যেখানেই সুযোগ পাবে সেটা নেয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু এখানে পুলিশ প্রশাসনের এখানে অনেক কিছুই করার আছে। ড্রাইভার এসোসিয়েশন, মালিক এসোসিয়েশন এবং বিআরটিএ-সহ সবাই যদি সঠিক ধারায় চিন্তা করে তাহলে এটা সমাধান হতে পারে।”

উন্নত বিশ্ব যেভাবে যানজট কমিয়েছে সেভাবে দেশের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডিএমপি ডিসি (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, “আমাদের সিটি সার্ভিস যেটা আছে সেটা ব্যক্তি বিশেষের ব্যবসা। এর ফলে চলে প্রতিযোগিতা, রাস্তার মাঝখানে থামিয়ে তারা যাত্রী উঠাচ্ছে-নামাচ্ছে। পাল্টা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে, মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। যখন শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে গণপরিবহন, তখন এই অসম প্রতিযোগিতা আর থাকবেনা। নতুন সুন্দর এটা পরিবেশ দাঁড়িয়ে যাবে। জাপানের কথা চিন্তা করুন, সেখানে ট্রাফিক ব্যবস্থা ৫০ বছর আগে খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। ৫০ বছর পরে কি হবে এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রথমে তারা ভবিষ্যৎ নাগরিক, প্রাইমারী স্কুলে পড়ে তাদেরকে ট্রেইন্টআপ করে।”

গাড়ি চালক, ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ সচেতন হলেই যানজট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলছেন তারা।

এএইচ