কম খরচে লাভবান কলা চাষে ঝুঁকছেন ঝিকরগাছার চাষিরা
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:৩৪ এএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ রবিবার
আর্থিকভাবে লাভবান, তুলনামূলক খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় যশোরের ঝিকরগাছায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলা চাষ। চাষাবাদে সফলতায় হাসি ফুটেছে উপজেলার অনেক চাষির মুখে। ফলে অন্যান্য ফসল চাষ ছেড়ে তারা আসছেন কলা চাষে।
উপজেলার অর্থকরী ফসল হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে কলা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হয়েছে।
উপজেলার বোধখানা মাঠে কৃষকেরা ধান-পাট চাষ কমিয়ে কলা চাষ করছেন। অনেকে চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতেও কলাবাগান করছেন।
বোধখানা গ্রামের বেলেমাঠপাড়ার ওসমান গণী ধান চাষের পরিবর্তে কলার বাগান করেন। এক বিঘা জমিতে দুই বছরে খরচ বাদে অন্তত তিন লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
ওসমান গণী বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে চাঁপা সবরি জাতের ক্রস কলার বাগান করেছি। গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি দিকে কলার চারা (বোগ) রোপণ করি। আট মাস পরে গাছে ফল আসে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা।’
‘খেতে ২৯০টি গাছে কলার কাঁদি পড়েছে। সপ্তাহ দুয়েক পর কলা কাটা যাবে। এই অবস্থায় পাইকারদের কাছে আগাম ৯৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। কলা কাটার পর চারা বিক্রি করা যাবে আরও ২৫ হাজার টাকার। এ বাগান দুই বছর রাখা যাবে। এ সময়ের মধ্যে তিনবার ফল ধরবে’ বলেন, ওসমান গণী।
ওসমান গণী আরও বলেন, ‘ক্রস জাতের চারা লাগানোর কারণে গাছ বেশি বড় হয়নি। তাই ঝড়ে গাছ ভাঙার ভয় নেই। সেই সঙ্গে বাঁশ দিয়ে ঠেকা দেওয়া লাগেনি, বাড়তি খরচ পড়েনি। আবার কলার কাঁদি অনেক বড় বড় হয়েছে। কলা চাষে খরচ কম হওয়ায় লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘দিন দিন কলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা কলা চাষ করছেন। এটি পতিত জমিতেও ভালো হয়। লাভজনক ফসল হিসেবে যে কেউ স্বল্প খরচে ও অল্প শ্রমে সহজে কলা চাষ করতে পারেন। বোধখানা ও বারবাকপুর গ্রামের ব্লকে বসতবাড়িসংলগ্ন পতিত জায়গায় ৮০০ কলার বাগান করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, কলার চারা পোতার পর ফল আসার আগে অন্তত তিনবার গাছ কাটলে সেটা ক্রস হয়ে যাবে, গাছ বেশি বড় হবে না। তাই গাছ ভাঙার শঙ্কা নেই। ফলনও অনেক বেশি হয়।
এএইচ