চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একজন মুহিত প্রয়োজন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ রবিবার
২০০৮-০৯ সময়ে বিশ্ব মন্দার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা এসেছিল। সে সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তাঁর মতো বাস্তববাদী এবং দূরদর্শী লোকের কারণে সেই ধাক্কা শুধু সামাল নয়, অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। আগামীর বহুবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশে আরেকজন মুহিত প্রয়োজন।
প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ এম এ মুহিত ট্রাস্ট এই আলোচনা ও স্মরণিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে আবুল মাল আবদুল মুহিতের সহোদর আব্দুল মোমেন বলেন, ব্যাংকিং ও পুঁজিবাজারে অদৃশ্য হাতের কারসাজি বাদ দিলে আবুল মাল আবদুল মুহিতের দায়িত্বপালনকালীন ১০ বছরের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা বিশ্ব দরবারে সম্মান ও মর্যাদার আসন দিয়েছে বাংলাদেশকে। তিনি ছিলেন বাস্তববাদী মানুষ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরাবরই কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ এবং তা নির্ধারিত সময়ে শেষ করার তাগিদ দেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুহিতও প্রতিটি প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করার ওপর জোর দিতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশে ৩ বছরের প্রকল্প ৭-৮ বছরে শেষ হয়। প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতায় জনগণের ভোগান্তি ও হয়রানি যেমন বাড়ে, তেমনি বাড়তি বাজেট গুনতে হয়, যা গরিবের রক্তচোষা অর্থ।
যথাসময়ে প্রকল্প শেষ না হওয়ার ফলে বাংলাদেশের এ পর্যন্ত কত হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। এ অর্থের হিসাব প্রকাশ হলে দেশবাসী প্রজেক্ট সংশ্লিষ্টদের ধিক্কার দেবে এবং ঘৃণা করবে, যোগ করেন মোমেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদ, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, সাবেক এমপি আরমা দত্ত, সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, চ্যানেল আইর পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, এনজিও ব্যক্তিত্ব ড. আহমদ আল কবির, মুহিত তনয় শাহেদ মুহিত প্রমুখ।
আরমা দত্ত মুহিতকে শ্রেষ্ঠ বাঙালিদের অন্যতম উল্লেখ করে তাঁর নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একটি চেয়ার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
এএইচ