দিনাজপুরে আজও তাপমাত্রা ৬.১, স্থায়ী রূপে দুর্ভোগ
প্রতিনিধিদের খবর
প্রকাশিত : ০৮:৪৭ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার | আপডেট: ০৮:৪৯ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার
কমছে না শীতের দাপট। কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন। দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
দিনাজপুরে আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। শীতের তীব্রতায় কাজে বের হতে পারছেন না। এই তীব্র শীতে চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।
সপ্তাহব্যাপী জেলার তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা-নামা করেছে। সাথে ঘন কুয়াশা আর শৈতপ্রবাহ শীতের দুর্ভোগ যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য মতে শনিবার জেলায় মৃদু শৈত প্রবাহ চলছে। গত ৫ দিন দুপুরের পর সুর্যে্যর দেখা মেলায় সে সময়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বিকেল থেকে আবার তীব্র শীত আর কুয়াশার দাপট ঠিকই থাকছে। এবার একটানা প্রায় ১৭-১৮ দিন শীতের দাপট থাকায় কনকনে শীতে পুরো জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত কয়েক বছরে জেলায় একটানা এমন তীব্র শীতের প্রকোপ ছিলনা। এবার যেন হাড়কাঁপানো কনকনে ঠাণ্ডা জেকে বসেছে।
তীব্র ঠান্ডায় বিপাকে পঞ্চগড়ের খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ । শয্যা সংকটে হাসপাতালগুলোতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। স্থানীয় খামারগুলোতে গবাদিপশু-পাখিরা ভুগছে নানা রোগে।
রংপুর অঞ্চলে হাঁড় কাঁপানো শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিপাকে শ্রমজীবী, শ্রমিক, ক্ষেত মজুর আর ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে গাইবান্ধার দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ।
হিলিতে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষজন।
ঘন কুয়াশা ও শৈত প্রবাহ কিছুটা কমলেও সিরাজগঞ্জে কমেনি শীতের মাত্রা। দিনে রোদের দেখা কিছুটা মিললেও শীতের তীব্রতা মানুষকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে মৌলভীবাজারের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও নিন্মআয়ের মানুষ। গবাদি পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে কৃষকরা।
তীব্র শীত ও ঠান্ডায় টাঙ্গাইলে জনজীবন বিপর্যস্ত। এছাড়া ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ধান ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।
চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈতপ্রবাহ অব্যাহত। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে বেড়েছে জনদূর্ভোগ। বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ।
এএইচ