ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

উচ্চ ক্ষমতার উদ্ধারকারী জাহাজ আনার পরিকল্পনা (ভিডিও)

আহম্মদ বাবু

প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ১০:৪৭ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার

দেশে অত্যাধুনিক নৌযান বাড়লেও দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান উদ্ধারের সক্ষমতা বাড়েনি। ২৫০ টন ওজনের উপরে নৌযান উত্তোলনের জাহাজ দেশে নেই। তবে নুতন প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চ ক্ষমতার উদ্ধারকারী জাহাজ যুক্ত করছে বিআইডব্লিউটিসি। বিশেজ্ঞরা বলছেন, নৌযানের পিটনেস পরীক্ষার সময় সতর্কতা জরুরি। 

দেশে আধুনিক মানের লঞ্চ, ফেরীসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযান রয়েছে। বেশিরভাগেরই ওজন ১ হাজার টন বা তার চেয়ে বেশি।

কখনও এসব নৌযান দুর্ঘটনার শিকার হলে উদ্ধারের সক্ষমতা নেই। ২৫০ টন বা তার চেয়ে বেশি ওজনের নৌযান দুর্ঘটনার শিকার হলে অভিযান চালানোর মতো জাহাজ দেশে নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চলে কালক্ষেপণ।

বিশেজ্ঞরা বলছেন, নৌযানের ফিটনেস এবং ৩০ বছর পর চলনশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সর্তকতার সঙ্গে ছাড়পত্র দিতে হবে।

বুয়েট সহকারী অধ্যাপক (এআরআই) মো. ইমরান উদ্দিন বলেন, “আইনের ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা আছে, ৩০ বছর পর মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হল এবং এরপর যে এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে সেটা বলা নেই। দেখা যাচ্ছে, ৪০ বছর হওয়ার পর পুনরায় পারমিশন দিতে দিতে তার বয়স ৫০ পার হচ্ছে। যেগুলো দুর্ঘটনার পর জানা যাচ্ছে।”

বিআইডব্লিউটিসি বলছে, ৫ বছরে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ হচ্ছে। ভবিষ্যতে বড় ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ যোগ হবে বহরে।

বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান ডক্টর এ.কে.এম মতিউর রহমান বলেন, “হামজা এবং রুস্তম- এদের ক্ষমতা ৫০ টন। এখন তাদের বয়স হয়ে গেছে ৪০’র বেশি পারেনা। আমরা একটি প্রকল্প তৈরি করছি, অচিরেই সরকারের কাছে এটি উপস্থাপন করা হবে।”

তবে, নৌপথে দুর্ঘটনা রোধে সবগুলো সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এএইচ