ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ী মুরাদকে গ্রেফতারের দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৬ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার

রাজধানীর চকবাজারস্থ ইমামগঞ্জের  অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ী আমিনুল হক মুরাদকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। 

আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি)  সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, রাজধানীর চকবাজারের ইমামগঞ্জের আতঙ্ক আমিনুল হক মুরাদ ওরফে গুন্ডা মুরাদ।  সে দীর্ঘদিন ধরে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসার আড়ালে সরকার নিষিদ্ধ অবৈধ পলিথিনের কারবার করে আসছে। সে পলিথিন উৎপাদন সারাদেশে সরবরাহ করে। ব্যবসাকে পাকাপোক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া করা গুন্ডাবাহিনী লালন-পালন করে। তার মালিকানাধীন মধুপুর এবং নিউ রহমানীয়া ট্রান্সপোর্টের বিরুদ্ধে সারাদেশে পরিবেশ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। 

বক্তরা বলেন, দেশের কোথাও অবৈধ পলিথিনের গাড়ী আটক হলে মুরাদের গুন্ডাবাহিনী স্থানীয়  লোকজনকে ধরে নিয়ে তার টর্চার সেলে নির্যাতন করে এবং মামলা দেয়। সম্প্রতি চকবাজারের বাল্লু রোডের, চুন্নু মিয়ার গলির ভাড়াটিয়া সোহেল নামে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে মারধর করে এবং গুলি করে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী সোহেল জানান, গত পহেলা ফেব্রুয়ারি রাত ১টা ১০ মিনিটে মিটফোর্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন আমার বাচ্চার কাছ থেকে বাসায় ফিরছিলাম। চকবাজারের বিসমিল্লাহ টাওয়ারের সামনে আসতেই মুরাদের লোকজন আমায় ধরে নিয়ে যায়, ফর্মা বলে গালি দিয়ে মুরাদ ও তার লোকজন হকিস্টিক ও কোদালের হাতল দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে। তারাই আবার মিটফোর্ড হসপিটালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। চিকিৎসা কাগজপত্র তারা রেখে দেয়। আর একথা কাউকে জানে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আমি ঢাকা মেডিকেলে এসে চিকিৎসা নেই।

আমার স্ত্রী লাকি আক্তার চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলার পর গুন্ডা মুরাদ পলাতক। তাকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবেশের আইনে মামলা রয়েছে বলে জানতে পারি।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী সোহেলের স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন, আমার স্বামীর নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে আমি ন্যায্য বিচার দাবি করছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী সোহেল ও তার স্ত্রী লাকি আক্তার, স্থানীয় এলাকাবাসী রহমান হাজী, আব্দুর রহিম, শেফালী বেগম, শরীফা বেগমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।