পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৫ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৩৪ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার
২৪ কোটি ১০ লাখ জনগণের পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। এই নির্বাচনে ইমরানের দল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দেশটির ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের পরবর্তী সরকার কারা গঠন করবে তা নির্ধারণ করবে।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে দেশটিতে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই ভোট গ্রহণ।
তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে মোট আসন সংখ্যা ৩৪২টি। যার মধ্যে ২৭২টি আসনে সরাসরি ভোট হচ্ছে।
একইদিন দেশটির চারটি প্রদেশের আইনসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। একজন ভোটার দুটি করে ভোট দেবেন, একটি জাতীয় আইনসভার জন্য অপরটি প্রাদেশিক আইনসভার জন্য।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারে। চারটি মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাই এবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে যিনি এগিয়ে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটা নির্বাচন নয়, সিলেকশন। নির্বাচনে যে নওয়াজ শরিফ ও তার দল জয় পাবে সেটা আগেই বলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যেখানে কোনো সরকারই ক্ষমতার পূর্ণ মেয়াদ ভোগ করতে পারেনি। কোনো না কোনো অজুহাতে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে বা হতে হয়েছে।
দেশটির সামরিক বাহিনী মুখ্য সব রাজনীতিকদের মুক্তি আর জেলবন্দির পেছনে ভূমিকা পালন করছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। যদিও সামরিক বাহিনী প্রথম থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।
এদিকে নির্বাচনের আগের দিনই দেশটিতে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৮ জনের প্রাণ গেছে।
এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন, বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপিসহ ছোট-বড় প্রায় ১৪টি রাজনৈতিক দল। তবে নির্বাচনের মাঠে নামতে দেয়া হয়নি ইমারন খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই)। কয়েকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে বন্দি ইমরান।
আর এসব মামলার কারণে তাকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কেড়ে নেয়া হয়েছে তার দলের প্রতীক ব্যাটও। তবে পিটিআই-এর প্রতীক কেড়ে নেয়ায় দলটির প্রার্থীরা সবাই স্বতন্ত্র হিসেবেই লড়ছেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির ৩৫ বছর বয়সী বিলাওয়াল ভুট্টো ইতিমধ্যে নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা করেছেন।
ভোট গ্রহণে পাকিস্তানজুড়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ২৭ হাজারের বেশি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কেন্দ্রকে অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
ভোট চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের ৫০ হাজার সদস্য। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রের ৪০০ মিটারের মধ্যে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীদের অবস্থান না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এএইচ