ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২৩ ১৪৩১

‘আড়াই বছরের প্রধানমন্ত্রী’ নীতিতে পাকিস্তানে জোট সরকার!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৯ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:২৪ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার

ভোটগ্রহণের তিন দিন পর সব আসনের সরকারি ফল প্রকাশ হলেও পাকিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। জোট গঠনের ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা জটিলতা আর সমীকরণ।

অপরদিকে সমঝোতা হলেও প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে সরকার গঠনে জটিলতা দেখা দিয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপির মধ্যে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ সমান দুভাগে ভাগ করার বিষয়ে ভাবছে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দল।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ভোটের চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ১০১ আসন। আর নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৫ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। সরকার গঠন করতে প্রয়োজন হবে ১৩৪টি আসন।

একটি টেকসই জোট সরকার গঠনে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে প্রাথমিক কৌশল অবলম্বন করছে পিএমএল-এন। সেই কৌশল ধরেই আগামী দিনের সম্ভাব্য মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।

শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার পেলে নওয়াজের সঙ্গে জোট সরকার গঠনে সম্মতির কথা জানান বিলাওয়াল ভুট্টো। কিন্তু এ পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না দেশটির তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

পরে পিএমএল-এনের একটি সূত্রের খবরে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর পদ যদি পিপিপিসহ মিত্ররা পিএমএল-এনের জন্য ছেড়ে দেয়, তাহলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও সংসদের স্পিকারের পদ পিপিপিকে দেয়া হতে পারে।

তাতেও সমাধান না হওয়ায় এবার প্রধানমন্ত্রীর পদই সমান দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব উঠেছে। সে অনুযায়ী পাঁচ বছর মেয়াদের সরকারে দুই দল থেকে আড়াই বছর করে প্রধানমন্ত্রী করা হবে।

জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সরকার গঠনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রোববার রাতে বিলাওয়ালের বাসভবনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়। পিপিপির পার্লামেন্টারিয়ান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং পিএমএল-এন থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ‘পাকিস্তানকে বাঁচাতে’ দুই দল জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গঠনে ক্ষমতা ভাগাভাগির কথা ভাবছেন পিপিপি এবং পিএমএল-এনের শীর্ষ নেতৃত্ব। এর অংশ হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরের জন্য তারা সরকার গঠন করবেন। এর মধ্যে আড়াই বছর পিএমএল-এন এবং আড়াই বছর পিপিপির নেতা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।

বিবৃতিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে বের করে পাকিস্তানকে সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে দুই দলই তাদের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার বিষয়ে নিশ্চিত করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জনগণের ভোটে উভয় দল সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়েছে। তারা দেশের জনগণকে হতাশ করবে না।

এ সময় পাকিস্তানের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে দুই দলের নেতারা তাদের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।

এর আগে একই ফর্মুলায় বেলুচিস্তান প্রদেশে সরকার গঠন করে পিএমএল-এন। ২০১৩ সালে ন্যাশনাল পার্টির (এনপি) সঙ্গে আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি করে জোট সরকার গঠন করেছিলেন নওয়াজ শরিফ।

এমএম//