বসন্ত-ভালোবাসায় সেজেছে মহামায়া পার্ক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার
ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার রীতি বেশ পুরাতন। শহর থেকে গ্রামে বসন্তের বাতাসে যেন সবার মনে সুর বেজে ওঠে। পাশাপাশি ভালোবাসা দিবস উদযাপনও এখন বাঙালি সংস্কৃতির অংশ। আর এবার বসন্তের আগমন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মহামায়া ইকো পার্ক নতুন রুপে সেজেছে। পার্ক কতৃপক্ষ আসা করছে সব মিলিয়ে তাদের ৩ লক্ষ টাকা আয় হবে ভালোবাসা দিবসে।
মহামায়া পার্কে গিয়ে দেখা যায়, পার্কের প্রবেশের মূল গেটে নতুন করে সাজছে। ভিতরের ফুল গাছ সহ নানা ধরণের গাছ গাছালীকে পানি দিয়ে পরিস্কার করছে পার্কের লোকজন। পর্যটক বসার গোলছাতা ঘরকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। পুরা পার্কের ময়লা পরিস্কার করে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে তারা। লেকের মধ্য কন ধরনের আবর্জনা না পেলতে পর্যটকদের সচেতন মূলক পরামর্শ দিচ্ছে পার্কের ইজারাদারের লোক জন।
পার্কের ব্যবসায়ীরা তাদের কায়াকিং ভোটও ইঞ্জিন চালিত ভোটকে নতুন করে ডিজাইন করছে রং দিয়ে। আবার কেউ কেউ পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ করতে ফুল ক্রয় করছে বলে জানায় তারা। আচার ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের আচার দিয়ে সাজিয়েছে দোকান। ক্রোতার চাপ সামলাতে অনেক দোকানি বাড়তি কর্মচারী নিচ্ছে।
মান্নান স্টোরের সত্ত্বাধিকারী খায়েজ আহম্মদ বলেন, ‘পর্যটক মৌসুমে এবার আমাদের তেমন আয় হয়নি। হরতাল অবরোধের কারণে পার্কে পর্যটক আসেনাই। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে পুরা দোকান সাজিয়েছি। ভালো বিক্রি হবে আশা করছি।’
কায়াকিং বোটের দায়িত্বে থাকা শহিদ বলেন,‘ভালোবাসা দিবস অনেক পর্যটক হবে। আমরা নতুন করে কায়াকিং নিয়েছে পর্যটকদের জন্য। পুরাতন গুলাকে নতুন করে ডিজাইন করছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য আমাদের কয়েকজন কর্মচারী কাজ করবে।’
মহামায়া ইকোপার্ক ইজারা পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ.আর এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তা মো. জাহেদ হোসেন জানান, বছরের অন্যান্য সময়ের চাইতে এ ভালোবাসা দিবসে পর্যটকে অনেক বেশি হয়। দিবসটিকে কেন্দ্র করে পার্কটিকে নতুন করে পরিস্কার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩ লক্ষ টাকার মত আয় হবে বলে আশা করা যায়।
চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে যে কোনো খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের টিম সবসময়ই সতর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি।
কেআই//