কুবিতে শিক্ষক হেনস্তা, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:২৫ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার
কুবিতে শিক্ষক হেনস্তা, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষক হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতি সভাপতি ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন। অন্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে চাকরি আবেদনকারী মো. ইমরান হোসাইন, অনুপম দাস বাধন, রকিবুল হাসান রকি, আমিনুর রহমান, ইমাম হোসাইন মাসুম, রাকিব, জাহিদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের নামে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সোমবার বিকাল ৪টায় নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতাকর্মীরা উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গেলে জাকির হোসেন ও ইমরান হোসাইনের নেতৃত্বে শিক্ষকদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও হেনস্তা করার চেষ্টা করা হয়। এসময় তারা মারমুখী আচরণ শুরু করে এবং প্রাণনাশমূলক হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ৎ
আরও বলা হয়, এ সময় উপাচার্য আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করেই নিজ বাসভবনে চলে যান। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি উপস্থিত শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে শিক্ষকদের স্বাক্ষরসহ থানায় সাধারণ ডায়েরি করলাম।
এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক থানায় উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত শিক্ষকদের স্বাক্ষরসহ সংযুক্তি দিয়ে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
থানায় অভিযোগের বিষয়ে ড. তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যদি আমরা নিরাপদ না থাকি, তাহলে আমরা অবশ্যই রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চাইবো। প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই। উপাচার্যের কাছে আমরা নিরাপত্তা চেয়েও পাইনি এবং প্রক্টরিয়াল বডিও নিরাপত্তা দেয়নি। এখন শিক্ষকেরা নিরাপত্তাহীনতায় আছে। এজন্য আমরা রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি।
জিডির বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, শিক্ষকদের নিরাপত্তার বিষয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলতে চাইলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এএইচ