মাতৃভাষার গুরুত্ব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরায় অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:১৮ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০৪:১৮ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার
মাতৃভাষার গুরুত্ব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) সরকারের মন্ত্রীসহ বহুভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিরা। এ উদ্যোগ সকল জাতির ভাষা, আত্মপরিচয় ও নিজস্ব সংস্কৃতির স্বীকৃতি লাভে সহায়ক হবে। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বহু ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে আজ পালিত হয় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
এসময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, পৃথিবীর সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের ভাষা এখন ঝুঁকির সম্মুখীন। গত দুই শতাব্দীতে প্রায় দু’হাজার ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। যেকোন ভাষার প্রতিটি শব্দ গভীর মর্মার্থ বহন করে। ভাষা হলো প্রতিটি জাতির সংস্কৃতি, আশা-অকাঙ্খা ও গৌরবোজ্জল অতীতকে ধরে রাখার মাধ্যম। যেকোন ভাষা বিলোপ হলে মানুষের অতীত স্মৃতি, সংগ্রামের ইতিহাস এবং আবিস্কৃত নতুন প্রযুক্তিসহ সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক হারিয়ে যায়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার বিশ্বের প্রতিটি ভাষা সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত দীর্ঘ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্ভীক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন তিনি। রাজধানী ক্যানবেরায় প্রভাত ফেরীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন এসিটি সরকারের পরিবেশ মন্ত্রী রেবেকা ভাসারতি, বহুসংস্কৃতি বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী পিটার কেইন, অস্ট্রেলিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. সিসো প্রামানোসহ কূটনৈতিক, অষ্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ভাষা-ভাষীদের প্রতিনিধি, অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী ও অভিবাসীগণ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। অংশগ্রহণকারীরা অস্থায়ী শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় ভাষা শহিদদের স্মরণে ০১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া এসিটি সরকারের পরিবেশ মন্ত্রী, ছায়ামন্ত্রী এবং অস্টেলিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। সকাল ৮.০০ টায় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।
এসময় দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। সন্ধ্যায় দেড় শতাধিক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ও অভিবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় হাইকমিশনারসহ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা শেষে ভাষা শহিদদের স্মরণে ও বাংলাদেশকে উপজীব্য করে স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া নিজ নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক ভাষা শহিদদের উদ্দেশ্যে মৌন প্রার্থনা এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কেআই//