ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

তার ছাড়াই গ্রাহকরা পাবেন ব্রডব্যান্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৭ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার

দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ে সামনে বড় ধরনের পরিবর্তন আশা করা যাচ্ছে। কেননা আগামীতে তার ছাড়াই ওয়াইফাই সংযোগ লাভ করতে পারবেন তাদের গ্রাহকরা।

সম্প্রতি দেশের টেলিকম অপারেটররা গ্রাহকদের ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডাব্লিউএ) সেবা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে। এতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের (আইএসপি) সঙ্গে দারুণ এক প্রতিযোগিতা শুরু হতে যাচ্ছে মোবাইল অপারেটর কোমানিগুলোর। আর গ্রাহকদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছে বিকল্প সুযোগ।

নতুন ফাইভ-জি নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এফডাব্লিউএ পরিষেবা অনুমোদনসহ ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাসাবাড়ি ও ব্যবসার মতো নির্দিষ্ট স্থানে দ্রুত-গতির ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে মোবাইল অপারেটরগুলো। ফলে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার পরিসর আরও বাড়বে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় তার দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সুযোগ সীমিত, সেসব এলাকার মানুষও ব্রডব্যান্ড স্পিডের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন অনায়াসে। 

তবে এজন্য হাতে থাকা লাগবে একটি ফাইভ-জি সাপোর্টেড মোবাইল ফোন বা ডিভাইস। কারণ তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহ করতে সাধারণত ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের উচ্চগতির ক্ষমতা ব্যবহার করে এফডাব্লিউএ।

আর তাই শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দেশের টেলিকম অপারেটরগুলো এখনও বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু করতে অনিচ্ছুক হওয়ায় এই সেবা সম্প্রসারণে সময় লাগবে।

বর্তমানে টেলিকম অপাবাংলাদেশে রেটররা মোবাইল ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে এবং আইএসপি লাইসেন্সধারীরা ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদান করে। সাধারণত মোবাইল অপারেটররা থ্রিজি, ফোরজি ও ফাইভ-জির মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। এই নেটওয়ার্কগুলো স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে ওরয়্যালেস ডেটা ট্রান্সমিশন করতে সক্ষম।

অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড অপারেটররা তার বা ফাইবার অপটিক্সের মতো সংযোগের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহ করে। তারা মোবাইল নেটওয়ার্কের তুলনায় বেশি ব্যান্ডউইথ ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে থাকে।

এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটররাও একই ধরনের সেবা দিতে পারবে। এজন্য গ্রাহকদের শুধু সিগনালের জন্য বাইরে একটি অ্যান্টেনা, ভিতরে একটি মডেম বা রাউটার ও অপারেটরের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ১৩ লাখ, যার মধ্যে ১১ কোটি ৮৪ লাখ মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক। বাকি ১ কোটি ২৮ লাখ ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী।

এমএম//