ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে মারধর, কিশোরগ্যাং লিডারসহ আটক ৪

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০১:৪৭ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মানবজমিন পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি সাংবাদিক বাবু মির্জাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। এ ব্যাপারে দায়ের করা মামলায় কিশোরগ্যাংয়ের ৩ জনসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

আটককৃতরা হলেন ব্রাহ্মণ গ্রামের মৃত ইসমাইল ভূঁইয়ার ছেলে ইভটিজার আজিজল হক হৃদয় (২০), গোপিনাথপুরের রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়ার ছেলে কিশোরগ্যাং লিডার রোকন ভুঁইয়া (২৫), খোকশাবাড়ি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৭), রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়ার বড় ছেলে রাশেদ উদ্দিন ভুঁইয়া (৪২)। 

আটককৃতরা আত্মীয় হওয়ায় বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মামলার বাদী এবং তার ভাতিজা একুশে টেলিভিশনের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি স্বপন মির্জাকে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

পুলিশ ও নির্যাতীতরা জানান, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার চৌহালী প্রতিনিধি বাবু মির্জার মেয়ে এনায়েতপুর আইসিএল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫)কে বখাটে হৃদয় উত্যাক্ত করতো। তার স্বজনেরা বার বার নিষেধ করলেও মানেনি। মঙ্গলবার বিকালে স্কুল শেষে ক্লাস থেকে বের হলে বখাটে হৃদয়সহ ৬ জন মিলে আধা ঘন্টা আটকে রাখে ও মেয়েটির হাত ধরে শ্লীতাহানীর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে তার চাচা লিটন মির্জা আসলে ছেড়ে দেয়। 

এরপর বাবা বাবু মির্জা এসে মেয়েকে কেন উত্তপ্ত করা হচ্ছে প্রশ্ন করলে ইভটিজার হৃদয় তাকে তেড়ে আসে। সে তখন এলাকার কিশোরগ্যাং লিডার রোকন ১৫-২০ জন সহযোগী নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাংবাদিক বাবু মির্জা তার বোনের বাড়িতে দৌড়ে পালালে সেখানে গিয়ে তারা মারধর করে।

এ নিয়েও এলাকাজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। 

এ ঘটনায় সাংবাদিক বাবু মির্জা ৭ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।অভিযোগের পর ঘটনাস্থল হতে পুলিশ এসে ওই ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

বাবু মির্জা অভিযোগ করে বলেন, একুশে টেলিভিশনের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি স্বপন মির্জাকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। মেয়ের উত্যাক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা এখন নিরাপত্তায় হীনতায় ভুগছি। বাকি আসামিদের দ্রুত আটকের দাবি জানাচ্ছি। 

এ ব্যাপারে ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটকে অভিযান চলছে।

এএইচ