ইংলিশ ক্লাবের কার্নিভালে মুখরিত নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:০৮ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ইংলিশ ক্লাব ব্যতিক্রমধর্মী এক আয়োজন করে যা কার্নিভাল নামে ইউরোপে পরিচিত। এ কার্নিভালের বিষয়বস্তু ছিল ভালোবাসা, ভাষা ও সাহিত্যের উদযাপন। মূলত রুশ দার্শনিক মিখাইল বাখতিনের কার্নিভালেস্কের থিওরি ও ইউরোপে প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসা কার্নিভালের ধারণা থেকেই এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি কয়েকটি পর্বে বিভক্ত ছিল৷ মঙ্গলবার সকালে কার্নিভালের স্টল উদ্বোধন করা হয়। এসময় শৈল্পিক আল্পনা ও ফটোবুথের কারুকার্য দেখে উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয়।
দুপুর ১২টায় একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। যার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফাদার ড.প্যাট্রিক ড্যানিয়েল গ্যাফনি। তিনি তার বক্তব্যে কার্নিভালের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
সেমিনারের মূল আলোচক ছিলেন নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামি হোসেন চিশতী। আলোচনার শুরুতে তিনি কার্নিভাল ও কার্নিভালেস্ক নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। এসময় তিনি বলেন, একটি কার্নিভাল শুধু আনন্দমেলাই নয় এটি সর্বশ্রেণীর মানুষের মিলনোৎসব।
ক্রাউনিং ও ডিক্রাউনিংয়ের মতো তাত্ত্বিক আলোচনা থেকে তিনি মোড় নেন মূল থিম ভালোবাসা, ভাষা ও সাহিত্যে। এ তিনটি ধারণার মাঝে আন্ত:সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, যুগে যুগে সাহিত্য ভালোবাসাকে অলংকৃত করেছে আর ভাষার মাঝেই সাহিত্যের উৎস।
তিনি বিভিন্ন প্রকার রোমান্টিক ভালোবাসা নিয়ে কথা বলেন এবং উপস্থিক দর্শকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের অভিব্যক্তি জানান।
সামি হোসেন চিশতী বিশ্বসাহিত্যের নানা উদ্ধৃতি ব্যবহার করে প্রেমের প্রকারভেদ নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, একেক ভাষায় প্রেমের বহিঃপ্রকাশ একেক রূপ পায়।
আলোচনা শেষে তাকে সন্মাননা স্মারক প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এসময় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সারোয়ার চৌধুরী এমন আয়োজনকে উৎসাহিত করে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যা গতানুগতিক ধারার বাইরে এক অভিনব আবহ তৈরি করে৷
সবশেষে ইংলিশ ক্লাবের মডারেটর ইয়াসিন সালিম সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং তার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বুশরা মোর্শেদসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক পর্ব শেষ হলেও শিক্ষার্থীদের দেখা যায় চিত্তাকর্ষক ফটোবুথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে, স্টলে কেনাকাটা করে ও চিঠির দেয়ালে বেনামী চিঠি আদান প্রদান করে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করতে৷
এএইচ