ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

এখনও ভেসে আসছে পোড়া গন্ধ, দেখা নেই তদন্ত কমিটির (ভিডিও)

রাসেল খান

প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ৪ মার্চ ২০২৪ সোমবার

তদন্ত কমিটি গঠনের তিন দিনেও বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনেও দেখা যায়নি কোনো সংস্থার কর্মকর্তাকে। এমন দায়িত্বহীনতায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি কমিটির কর্মকাণ্ড নিয়ে হতাশ বিশেষজ্ঞ মহল থেকে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, টাস্কফোর্স গঠন করে ঝুঁকির মধ্যে থাকা রেস্টুরেন্টগুলোর বিরুদ্ধে নেয়ার কথা জানিয়েছে রেঁস্তোরা মালিক সমিতি।

বেইলি রোডের গ্রীন কোজি কটেজ ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে বিভীষিকাময় স্মৃতির প্রতীক হয়ে। পুড়ে যাওয়া ভবনটি একনজর দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়। তিনদিন পেরিয়েও ধ্বংসস্তূপ থেকে বাতাসে ভেসে আসছে পোড়া গন্ধ।

কড়া নিরাপত্তায় বেইলি রোডের ভবনটি ঘিরে রাখা হলেও এখনও উদঘাটন হয়নি দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ। রাজউক এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন হলেও চোখে পড়েনি তাদের কার্যক্রম।

এতগুলো প্রাণ এভাবে ঝরে যাওয়ার পরও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। 

তারা জানান, এখনও এখানে এসে ধোয়ার গন্ধই পাচ্ছি। এ রকমের ঘটনায় প্রতিবার আলোচনা হয় কিন্তু এর প্রতিকার দেখছিনা। 

গ্লাস দিয়ে আবদ্ধ করে রাখা রেস্টুরেন্টগুলো দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।

বাপা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. কামরুজামান মজুমদার বলেন, “এই ভবনে কোনো ফায়ার এক্সিট ছিল না।”

এদিকে পুড়ে যাওয়া গ্রীন কোজি কটেজ পরিদর্শনে আসেন রেঁস্তোরা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতারা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠা ঝুঁকিপূর্ণ রেঁস্তোরাগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান তাদের। 

বাংলাদেশ রেঁস্তোরা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, “আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিকদের সাথে নিয়ে অগ্নিনির্বাচন ব্যবস্থা ও তাদের যে কোনো সেফটির ব্যবস্থা করা হয়।”

অন্যদিকে, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ঘটনায় আহত পাঁচ জনের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসা শেষে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম বলেন, “তাদের অবস্থা এই মুহূর্তে ভালো। তারা ভালো অনুভব করছেন, সুস্থ্য থাকায় তাদের ১১ জনকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি। হাসপাতালে এই মুহূর্তে ভর্তি আছেন তিনজন। এই তিনজনেরও অবস্থাও ভালোর দিকে।”

নিহত ৪৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও ডিএনএ টেস্ট সম্পন্ন না হওয়ায় দুইজনের মরদেহ দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এএইচ