ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বেইলি রোডে নবাবী ভোজ, খিলগাঁওয়ে ৭তলা ভবন সিলগালা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ৫ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৫৮ পিএম, ৫ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার

বেইলি রোডে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অভিযান শেষে নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। একইদিন খিলগাঁওয়ে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ করায় একটি সাততলা ভবন সিলগালা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টার পর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব নেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদার।

একযোগে অভিযান অংশ নেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। 

অভিযানের শুরুতে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশে জানায়, গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমলে নিয়ে যথাযথভাবে জরুরিভিত্তিতে সঠিকভাবে সংস্কারের কাজ চালু থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে। এজন্য সবার নিকট আমরা দুঃখিত।

এরপর বন্ধ রেস্টুরেন্টটি সাময়িক সময়ের জন্য সিলগালা করে দেয় রাজউক। 

একইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় খিলগাঁও এলাকায় অভিযানে নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। খিলগাঁওয়ে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ করায় একটি সাততলা ভবন সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুরুতে খিলগাঁও শর্মা হাউজ রেস্টুরেন্টে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করেন তারা। একই ভবনের তৃতীয় তলায় পাস্তা ক্লাব নামে আরেকটি রেস্তোরাঁয় ঢোকেন আদালত অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা। 

এ সময় ভবনের সামনে অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩ অনুযায়ী ‘এই ভবনটি অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যাধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা একটি ব্যানার টানিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা। পরে সাততলা এ ভবনটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল ধানমন্ডি এলাকায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি পাওয়ায় দ্য বুফে এম্পায়ার, বাফেট লাউঞ্জ ও বাফেট প্যারাডাইজ নামক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের একটি সাততলা ভবনে আগুন লাগে। আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই ভবনের প্রায় প্রতিটি ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। 

এ অগ্নিকাণ্ডের পরই রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে রেস্তোরাঁ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ জানান বিশেষজ্ঞরা। তারপরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এএইচ