সুদানে শীঘ্রই ‘বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষুধা সংকট’হবে : বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৯ পিএম, ৬ মার্চ ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০৫:০৮ পিএম, ৬ মার্চ ২০২৪ বুধবার
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বুধবার সতর্ক করে বলেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের মধ্যে সুদানের প্রায় ১১ মাসের যুদ্ধ ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষুধা সংকটের ঝুঁকি’র মুখোমুখি হবে।
সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে যুদ্ধ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। ধ্বংস করেছে ব্যাপক অবকাঠামো এবং সুদানের অর্থনীতিকে পঙ্গু করেছে। যিনি আধাসামরিক র্যাাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের নেতৃত্ব দেন।
এটি ৮ মিলিয়নেরও বেশি লোককে নির্মূল করেছে। এছাড়াও সংঘর্ষের আগে ২০ লাখ লোককে ইতোমধ্যেই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। দুই জেনারেলের যুদ্ধে দেশটিকে ইতোমধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি সংকটে পরিণত করেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন বলেছেন, এখন ‘লক্ষ লক্ষ জীবন এবং সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’
তিনি সুদানের বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘বিশ বছর আগে দারফুর ছিল বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষুধা সংকট এবং এইজন্য বিশ্বের সাড়া জাগাতে সমাবেশও করেছিল।’
‘কিন্তু আজ সুদানের মানুষ সবকিছু ভুলে গেছে।’
আরএসএফ নিজেরাই জানজাউইদ মিলিশিয়ার বংশধর। যাকে সাবেক স্বৈরশাসক ওমর আল-বশির ২০০০ সালের গোড়ার দিকে দারফুরে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন।
বর্তমান যুদ্ধে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধেই আবাসিক এলাকায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু এবং প্রয়োজনীয় সাহায্যে পাঠাতে বাধা ও ত্রাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচি বর্তমানে ‘জরুরি ক্ষুধার’ সম্মুখীন হওয়া ৯০ শতাংশ প্রবেশ করতে অক্ষম এবং বলেছে যে, সুদানের জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ শতাংশ ‘প্রতিদিন এক বেলা খেতে পায়।’
জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, ‘সুদান থেকে পালিয়ে গিয়ে যে ৬ লক্ষ মানুষ দক্ষিণ সুদানের জনাকীর্ণ ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে সেখানে ‘পরিবারগুলো ক্ষুধার্ত অবস্থা থেকে আরো মারাত্বক ক্ষুধায় ভূগছে।’
এতে বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমকারী প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
সুদান জুড়ে ১৮ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তার সম্মুখীন হচ্ছে।
কেআই//