ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের চেতনায় শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান আরাফাতের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১০ পিএম, ৭ মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:১২ পিএম, ৭ মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আজ বাঙালি জাতিকে অদম্য করে তুলতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে এই ঐতিহাসিক ভাষণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি শব্দ যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ-তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে, আমার সবচেয়ে ভালো লাগে- ‘সাত কোটি মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারবা না’ কথাটি। এই শব্দগুলোতে অনুপ্রাণিত হয়ে, সামনের দিনগুলোতে আপনাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত। 

আজ সকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরাফাত আরো বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণার প্রথম অংশটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছিল- যেখানে তিনি উচ্চারণ করেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। 
তিনি বলেন, অবশেষে, ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর সামরিক হামলার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

আরাফাত আরো বলেন, স্বাধীনতার চেতনা শুধুমাত্র মৌলিক অধিকার-খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং স্বাধীনতার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে-মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এবং কারো কাছে মাথা নত না করা।  
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই করেননি, অধিকন্তু তিনি দেশের অন্যান্য সব খাতেও উন্নতি করেছেন।

আরাফাত আরো বলেন, “আজকের বাস্তবতায়, যা আপনারা (শিক্ষার্থীরা) এখন দেশে প্রত্যক্ষ করছেন, মাত্র ২০ বছর আগেও বাংলাদেশ এই মর্যাদায় ছিল না। আজ আপনাদের বড় স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা বেড়েছে। আমরা জানি যে, আপনারা এখন বড় চিন্তা করতে পারেন এবং ভবিষ্যতে আপনারা বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন।” 

বিশ বছর, এমনকি ১০ বছর আগেও দেশে মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, শতভাগ বিদ্যুৎ এবং টানেল ছিল না-উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কিন্তু, আজ বাংলাদেশ সমুদ্রের নিচে সাবমেরিন ও স্যাটেলাইট দিয়ে মহাকাশে পৌঁছেছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল অবকাঠামো নির্মাণ করেছি।”

বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের তুলনা করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে- তিনি বলেন, “আপনারা বুঝতে পারবেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশের অবস্থানকে যে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছেন, সেখানে কত অল্প সংখ্যক দেশ যেতে পেরেছে। তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ে আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।
আরাফাত শিক্ষার্থীদের ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান নিয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের চেতনায় দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন, এমপি, শবনম জাহান শিলা, এমপি, ডিএমপির গুলশান জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম, বনানী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কাউন্সিলের সভাপতি মীর মোশাররফ হোসেন এবং অধ্যক্ষ ড. মো. মসিউর রহমান।

কেআই//