ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪২ এএম, ৯ মার্চ ২০২৪ শনিবার

ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দুই সিটিতেই ভোট হচ্ছে ইভিএমে। 

শনিবার (৮ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ ভোটগ্রহণ চলবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে সাধারণ এবং কুমিল্লা সিটিতে মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন ছাড়াও তিনটি পৌরসভার সাধারণ ও বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদসহ নানা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের শূন্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ ছাড়া ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন, ৭টি জেলা পরিষদের উপনির্বাচনসহ ১৮৭টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্য পদে উপনির্বাচন ভোটগ্রহণ চলছে। 

ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন।

ময়মনসিংহ সিটিতে ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯০টি ভোটকক্ষে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭২ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন এবং নয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

এই সিটিতে মেয়র পদে পাঁচজন, ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতি কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৭ জনের ফোর্স। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ সদস্য। 

ময়মনসিংহ সিটির ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও ভোটের এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের ৩৩টি মোবাইল টিম, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একটি রিজার্ভ টিম। ৩৩টি ওয়ার্ডে র‌্যাবের ১৭টি টিম এবং সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।।

অন্যদিকে, কুমিল্লা সিটিতে শুধু মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন হচ্ছে। উপনির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দুইজন।

কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুটি রিজার্ভ টিম রয়েছে। এ ছাড়া নিয়োজিত রয়েছে র‌্যাবের ২৭টি টিম এবং ১২ প্লাটুন বিজিবি। সর্বোচ্চ ২২ জনের ফোর্স অন্য স্থানীয় নির্বাচনের কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে।

নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। 

এএইচ