ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হাসি ফুটল সেই কৃষকের মুখে, তার ক্যাপসিকাম কিনলো ‘স্বপ্ন’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:১২ পিএম, ১০ মার্চ ২০২৪ রবিবার | আপডেট: ০২:১৪ পিএম, ১০ মার্চ ২০২৪ রবিবার

প্রথমবার ক্যাপসিকাম চাষ করেন জামালপুরের ইসলামপুরের কৃষক হৃদয় হাসান। ক্ষেত ভরে আসে ক্যাপসিকাম, তাতে লাভের স্বপ্ন বুনতে থাকেন হৃদয়। কিন্তু সবজির চাহিদা না থাকায় বিক্রি করতে না পেরে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। অবশেষে দেশের সবচেয়ে বড় রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ এই কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে। 

তরুণ এই কৃষকের ক্যাপসিকামগুলো অবশেষে বিক্রি হয়েছে। সম্প্রতি স্বপ্ন’র একটি টিম কৃষকের সাথে কথা বলে সেদিনই ২৫০ কেজি ক্যাপসিক্যাম কিনে নেন এবং পরের দিন বাকি সব ক্যাপসিক্যাম কেনার বিষয়ে কথা সম্পন্ন হয়। 

এখন থেকে তার ক্ষেতে উৎপাদিত ক্যাপসিক্যাম চলে যাবে স্বপ্ন’র আউটলেটে ।

এর আগে মার্চের প্রথম সপ্তাহে বেশ কয়েকটি অনলাইনে ‘ক্যাপসিকামের ব্যাপক ফলন, বিক্রি করতে না পেরে কাঁদছেন কৃষক’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ দেখে প্রতিনিধির মাধ্যমে সেই কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বপ্ন’র টিম।

স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, নিউজের মাধ্যমে ওই কৃষকের কথা জানতে পেরে আমাদের টিম সেখানে যায়। তার প্রোডাক্ট আমরা কিনে নিয়েছি। কৃষকদের এই সংকটে তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে ‘স্বপ্ন’। যেখানেই সংকট আর বিপর্যয় কৃষকের জন্য কাল, সেখানেই পৌঁছে যাবে ‘স্বপ্ন’।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, এবারের সংকটটা ছিল ভিন্ন রকম। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে। 

কৃষক হৃদয় হাসান জানান, জমি থেকে ক্যাপসিকামগুলো বিক্রি করতে পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে।  গাছে আগে বেশি ক্যাপসিকাম ছিল, সে সময় বিক্রি না করতে পেরে অনেক ক্যাপসিকাম নষ্ট হয়েছে। আগে আমি বিক্রির জায়গা খুঁজে পাইনি। প্রতিটি গাছে তিন চার কেজি করে ফল থাকার কথা ছিল কিন্তু সেটা নেই। এখন প্রতি গাছে এক কেজির মতো ক্যাপসিকাম রয়েছে। সেটা বিক্রি করতে পেরে ভালো লাগছে। স্বপ্নকে ধন্যবাদ দু:সময়ে আমার পাশে থাকার জন্য। 

উল্লেখ্য, কৃষক হৃদয় হাসান বেকারত্ব দূর করতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। ফলনও হয় বাম্পার। তবে জেলায় ক্যাপসিকামের চাহিদা না থাকায় বিক্রির বাজার না পেয়ে হতাশা হয়ে পড়ে কৃষক পরিবারটি। সঠিক সময় বিক্রি করতে না পেরে খেতেই নষ্ট হয়ে যায় অনেক ক্যাপসিকাম।

এএইচ