দালাল ছাড়া বিআরটিএতে প্রবেশ অনেকটা অসম্ভব (ভিডিও)
সাইদুল ইসলাম
প্রকাশিত : ১০:৩৪ এএম, ১২ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৪৮ এএম, ১২ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার
বিআরটিএতে যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষায় এখনও ভোগান্তি। কমেনি দালাল ও প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য। ৯৭ কোটি টাকা খরচ করে মিরপুরে একটি ভিআইসি সেন্টার স্থাপন করা হলেও সিরিয়াল পেতেই ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলোর অন্যতম যানবাহনের ফিটনেস না থাকা আর ও দক্ষ চালকের অভাব। এখনও দক্ষ চালক তৈরি ও সঠিকভাবে যানবাহনে ফিটনেস দিতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি বিআরটিএ। ঢাকার মিরপুরে একটি ফিটনেস টেস্টিং সিস্টেম থাকলেও পর্যাপ্ত জায়গা নেই। সিরিয়াল পেতে একদিন আগে বা আগের রাতে সড়কে দাঁড়া করিয়ে রাখতে হয় যানবাহন।
দালাল ছাড়া ভেতরে প্রবেশ অনেকটা অসম্ভব। দালাল ও প্রভাবশালীর চক্রের বলয়ে পুরো সড়কজুড়ে। তাদের টাকা না দিলে মিলে না সিরিয়াল।
একুশের ক্যামেরা দেখার পর সব দালালরা আড়াল হওয়ার চেষ্টা করে।
তবে, যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার অত্যাধুনিক ভিআইসি সেন্টার ভালোভাবেই চলছে। পুরো অটোমেটেড পদ্ধতিতে যানবাহন পরীক্ষার পর দ্রুত সনদ দেয়া হয়। তবে সারাদেশের জন্য মাত্র একটি সেন্টার যথেষ্ট নয়।
গাড়ীর ফিটনেস পরীক্ষার জন্য দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও ভিআইসি সেন্টার স্থাপন জারুরি বলে মনে করছে বিআরটিএ।
বিআরটিএ পরিচালক (রোড সেফটি) মাহবুব-ই-রাব্বানী বলেন, “পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই এই কার্যক্রম চালু করা হবে। অনেক জেলাতে ভূমি অধিগ্রহণ পর্যায়ে আছে। কাজেই সব জায়গায় আস্তে আস্তে আমরা ভিআইসি সেন্টার স্থাপন করবো।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অটোমেটেড পদ্ধতি ছাড়া ফিটনেস পরীক্ষা হলে সেটি বাস্তব সম্মত নয়। যে কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে ।
গণপরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, “সরকারকে জান-মাল রক্ষায় এবং নিজের ইশতেহারের স্মার্ট উন্নয়নের যদি তারা বাস্তবায়ন করতে চায় এগুলোকে রিফর্ম করা ছাড়া, আন্তর্জাতিকমানের চালক তৈরি এবং আন্তর্জাতিকমানের ফিটনেট ব্যবস্থা যদি করতে না পারি তাহলে ফাঁকাবুলি হয়ে যাবে।”
যানবাহন পরীক্ষা-নিরিক্ষা ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
এএইচ