ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বন্ধ পাবনা সুগার মিলে সরকারি ব্যয় ঠিকই হচ্ছে (ভিডিও)

রাজিউর রহমান রুমি, পাবনা থেকে

প্রকাশিত : ১০:৫৫ এএম, ১৩ মার্চ ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ১১:০৮ এএম, ১৩ মার্চ ২০২৪ বুধবার

তিন বছর ধরে আখ মাড়াই বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে পাবনা সুগার মিলের মূল্যবান যন্ত্রপাতি। তবে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সরকারি ব্যয় ঠিকই হচ্ছে। মিলটি ফের চালুর দাবি শ্রমিক-কর্মচারী ও স্থানীয়দের।

১৯৯৩ সালে দাশুড়িয়ায় ৬০ একর জমিতে ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত পাবনা সুগার মিল।

৪০ হাজার ১শ’ ৮৮ মণ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন মিলটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে। ধারণ ক্ষমতা এবং সব যন্ত্রাংশই আধুনিক হওয়ায় উৎপাদিত চিনিও ছিল উন্নতমানের।

কিন্তু লোকসান ঠেকাতে ২০২০ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি সুগার মিলের মধ্যে পাবনাসহ ছয়টি বন্ধ করে দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। তবে উৎপাদনে না থাকলেও তিন বছরে শ্রমিক-কর্মচারীদের পেছনে বেতন গুণতে হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। কমেনি সরকারি রক্ষণাবেক্ষণ খরচও। 

অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতিও।

মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, সরকার ইচ্ছা করলে মিল চালু করতে পারে আবার যদি মনে করে এভাবে রেখে দিবে তা রাখতে পারে। এখন মিল বন্ধ, এর কার্যক্রমও বন্ধ মনের দিক থেকে বিষয়টি খারাপ লাগে। মিলের যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে যাচ্ছে।

মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত আখচাষিরা। তারা জানান, মিলটি বন্ধ হয়ে যাবার পরে আখ চাষ বন্ধ করে দিয়েছি। যদি মিলটি আবার চালু হয় তাহলে আখ আবাদ করা হবে।

মিল নয়, আখ মাড়াই বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, চিনির সাথে অন্য পণ্য উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিলে মিলটি চালু করা সম্ভব।

পাবনা সুগার মিল  ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, “আখ-চিনি উৎপাদনের পাশাপাশি অন্য পণ্য যদি উৎপাদন করা যেতো তাহলে মিলটি চালানো সুবিধা হতো।”

চিনির চাহিদা এবং দাম বিবেচনায় মিলটি ফের চালু করা হলে লোকসান গুণতে হবে না। চিনির দামও কমে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

এএইচ