ইউরোপ পাঠানোর কথা বলে প্রতারণা, নির্যাতন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১৮ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৪৫ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার
ইরান হয়ে ইউরোপে যেতে আগ্রহী পাকিস্তানি নাগরিকদের আটকে রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাগুলোতে স্থানীয় অভিবাসীদের যোগসাজশ রয়েছে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের। কৌশলে ইরানে নিয়ে তাদের আটক করে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে রোববার ডন জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপে অভিবাসী হতে আগ্রহীদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে পরিবার ও স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়।
গত মাসে এমন তিনটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, যেখানে ১০ যুবককে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। কেউ তাদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করে। বাকিদের তেহরানে পাকিস্তান দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরান পুলিশ উদ্ধার করে।
ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) বলছে, অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা সম্প্রতি ব্যাপক বেড়েছে। এটি একটি বিপজ্জনক প্রবণতা। স্থানীয় গ্যাংগুলো আন্তজার্তিক কারবারিদের সঙ্গে যোগসাজশে এই কাজ করছে।
গত মাসে পাকিস্তানের হাফিজাবাদের বাসিন্দা মুহাম্মদ হুসনাইন, তার চাচাতো ভাই ফয়সাল ও প্রতিবেশী আনোয়ারের সঙ্গে ইউরোপে যাওয়ার জন্য সড়কপথে ইরানের উদ্দেশে রওনা হন। তারা বৈধ ভিসায় ভ্রমণ এজেন্ট মুহাম্মদ সারওয়ারের সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন। সারওয়ার তাদের ইরান থেকে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু তেহরানে পৌঁছানোর পর সারওয়ার তাদের ইউরোপে পাঠানোর জন্য তিনজনের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ ডলার চান। তিনজনই টাকার জন্য পাকিস্তানে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্বজনরা প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হওয়ায় সারওয়ার তাদের কিছু টাকায় ইউরোপ পাঠানোর কথা বলে একটি তিনতলা বাড়িতে নিয়ে যান।
মুহাম্মদ হুসনাইন বলেন, “সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর আমাদের একটি ছোট রুমে আটকে রাখা হয়। ২৪ ঘণ্টা পর মাস্ক পরা তিন-চারজন আমাদের পানি দেয়। তারা আমাদের ওপর নির্মম অত্যাচার করে। তারা নির্যাতনের সেই ঘটনা ভিডিও করে পাকিস্তানে আমাদের পরিবারের কাছে পাঠায়। তারা আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার ডলার করে দাবি করে। বন্দীদের সঙ্গে তারা পশুর মত আচরণ করে।”