দেশের অর্ধেক মানুষ পরোক্ষভাবে প্রাণিসম্পদের ওপর নির্ভরশীল (ভিডিও)
তৌহিদুর রহমান
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার
দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ পরোক্ষভাবে প্রাণিসম্পদের ওপর নির্ভরশীল। দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে নতুন নতুন প্রকল্প নিচ্ছে সরকার। খামারে বসছে আধুনিক প্রযুক্তি। এতে অধিক পরিমাণে দুধ দিচ্ছে গাভী ও দোহনও হচ্ছে আধুনিক উপায়ে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ খাতের সব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারদের প্রযুক্তির আওতায় আনা গেলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করা সম্ভব হবে।
ঘাস কাটার চপার মেশিন, খাবার ও পানি দেয়ার টিএমআর মেশিন, ওয়াটার ট্রাব, গোসলের জন্য অটোসাওয়ার সিস্টেম, বাছুরকে দুধ খাওয়ানোর সিএমআর মেশিন, কাউ ব্রাশ, শেডের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। দুধ দোহনেও দুই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। গাভীর গর্ভধারণ শনাক্ত ও অন্যান্য পরীক্ষায় আলট্রাসনোগ্রামসহ ব্যবহার হচ্ছে কমপক্ষে ১৭ ধরনের যন্ত্রপাতি।
আবার স্বয়ংক্রীয় ম্যাসাজ মেশিনও বসেছে খামারে। পশু নিজেই নিচ্ছে ম্যাসাজ। থাকছে প্রাণবন্ত।
দেশে নিবন্ধিত গবাদি পশুর খামার অন্তত ৭৯ হাজার ৫৮১টি। এরমধ্যে গাভীর খামার ৬৯ হাজার ৮৩৯, মহিষের ৫১, ছাগলের ৫ হাজার ১২৪ ও ভেড়ার খামার রয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার ৯৪৮টি।
এরমধ্যে ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের’ জরিপে ৬১ জেলার ৭২ লাখ খামারির তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। যাতে উঠে আসে, এক থেকে পাঁচটি গরুর খামারের সংখ্যা ৯০.২৫ শতাংশ। আর ৯৮.০৪ শতাংশ খামারিই ক্ষুদ্র। তবে ক্ষুদ্র খামারের বড় অংশই উন্নত প্রযুক্তির বাইরে।
খামারগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় আনা সম্ভব হলে পাল্টে যাবে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র, বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বলছে, বিনামুল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে মিল্কিং মেশিনসহ নানা প্রযুক্তি।
দুধের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে প্রাণিসম্পদ খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমএম//