জিম্মি জাহাজের নোঙর তুলে ফেলা হয়েছে, ই-মেইলে জানালেন ক্যাপ্টেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৫৫ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র সর্বশেষ অবস্থান জানিয়েছেন জাহাজটির চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সাড়ে ৩টার দিকে ই-মেইলে এ বার্তা দেন তিনি। জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিডেটের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম দৈনিক ইত্তেফাককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেইলে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল গারাকাতে নোঙর করা হয়েছিল। একদিন বিরতির পর আবার চলতে শুরু করেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’।
আজ শুক্রবার সকালে জলদস্যুদের নির্দেশে নোঙর তুলে ফেলা হয়েছে। এরপর জলদস্যুরা জাহাজটি চালাতে নির্দেশ দেয়। বর্তমানে জাহাজটি গারাকাত উপকূল থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এস আর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরেুল করিম জানান, ক্যাপ্টেনের ইমেইল পেয়েছি। জাহাজের সব নাবিক সুস্থ আছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। দস্যুরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে না এবং এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়েও কথা বলেনি। জাহাজ নিয়ে তাদের পছন্দ মত কোনো নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছানোর পরই হয়তো দস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে।
এদিকে, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স (ইইউএনএভিএফওআর) পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলে জানা গেছে। এই কার্যক্রমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন আটলান্টা’।
ইইউএনএভিএফওআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আটলান্টার সংগ্রহ করা তথ্যমতে জাহাজে অন্তত ১২ জন জলদস্যুকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও ছিনতাইয়ের সময় ২০ জন সশস্ত্র ব্যক্তির কথা বলা হয়েছিল।
এর আগে ওই অঞ্চলে ‘এমভি রুয়েন’ নামের আরেকটি জাহাজ ছিনতাই করে জলদস্যুরা। ওই দলের সদস্যরাই এমভি আবদুল্লাহর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। জাহাজের ২৩ নাবিককে স্পিডবোটে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন একজন।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। আক্রান্ত নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।
কেআই//