বঙ্গবন্ধু জীবনের ৮টি জন্মদিন জেলে কাটিয়েছেন: রাবিপ্রবি উপাচার্য
রাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:০১ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৪ রবিবার
জাতির পিতার জীবনের শৈশব থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যে সংগ্রাম করে গেছেন সেগুলো শিশু-কিশোরদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ও তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত করে দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে শিশুদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।
আজ রোববার জাতির পিতার ১০৪ তম জন্মদিন ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষ্যে দীপংকর তালুকদার সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আহ্ববান জানান তিনি।
তিনি বলেন, জীবনের ৮টি জন্মদিন জেলে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর জন্ম না হলে এই বাংলাদেশের জন্ম হতোনা।
বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ও জাতীয় চার নেতাকে বিনম্র চিত্তে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন উপাচার্য।
এর আগে সকাল ১০টায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে রাবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. নিখিল চাকমা, রাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গৌরব চাকমা এবং রাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও সহকারী রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) মাহবুব আরা বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ধীমান শর্মা।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সূচনা আখতার, হিসাব বিভাগের পরিচালক জনাব মো: নূরজুজ্জামান এবং কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো: কামাল হোসেন ।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা বলেন, জাতির পিতা শিশুদের অনেক ভালোবাসতেন যা তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে দেখা যায়। শিশুদের প্রতি তাঁর অনেক দরদ, মমতাবোধ ছিল। দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতে শিশুরা যেন নিরাপদ এবং বাসযোগ্য বেড়ে উঠে সেজন্য শিশুদের অনেক গুরুত্ব দিতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী মাঝে বিতরণ করা হয়।
এএইচ