প্রবাসী আয়ের প্রধান উৎস এখন আমিরাত-যুক্তরাজ্য
মেহেদী হাসান
প্রকাশিত : ১০:২১ এএম, ১৮ মার্চ ২০২৪ সোমবার | আপডেট: ১০:২৪ এএম, ১৮ মার্চ ২০২৪ সোমবার
প্রবাসী আয়ের প্রধান উৎস এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্য। যদিও গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছে সৌদি আরবে। তবে দেশটি থেকে বৈধ পথ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ প্রবাহ কমে যাওয়ায় এমন পরিবর্তন বলছেন অর্থনীতিবিদরা। ডলারের মূল্য যথাসম্ভব বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ তাদের। পাশাপাশি উচ্চ-প্রণোদনা পেতে পাচারকৃত অর্থ রেমিট্যান্স আকারে দেশে ফিরে আবারও তা পাচার হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখতে বলছেন তারা।
গত কয়েক বছর ধরে একটি শ্রেণীর আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত বা দুবাই। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খোলার খবর আসছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনে দেশ থেকে অর্থ নিয়ে দুবাইয়ে ব্যবসা গড়ার রেকর্ড নেই। এমন বাস্তবতায় ৮ মাস ধরে রেমিট্যান্সের শীর্ষ উৎস সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাজ্য থেকেও বাড়ছে রেমিট্যান্স।
পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবছরে একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল সৌদি আরব থেকে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।
কিন্তু চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল যুক্তরাজ্য ১ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র নেমে গেছে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে।
রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার ও ব্যাংক মিলে অন্তত ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। উচ্চ প্রনোদনার কারণে পাচার হওয়া অর্থ রেমিট্যান্স আকারে দেশে ফিরে আবারও বাইরে চলে যাচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখার পরামর্শ অর্থনীতিবিদের।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০ লাখ ৭৪ হাজার কর্মী বিদেশে গেছেন, তার আগের অর্থবছরে সংখ্যাটি ছিল ৯ লাখ ৭ হাজার। আর অভিবাসী হওয়া শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেকের গন্তব্য ছিল সৌদি আরব।
এএইচ