দু’একটি ছাড়া কোনো পণ্যই মিলছে না বেঁধে দেয়া দামে
মেহেদী হাসান
প্রকাশিত : ০৩:০৯ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৪ সোমবার
পেয়াজ, রসুন, আদা ছাড়া আর কোনো পণ্যই মিলছে না বেঁধে দেয়া দামে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দাম নির্ধারণ করে দেয়া ২৯টি পণ্যের ২৬টিই বাড়তি দামে কিনছেন ভোক্তারা। দোকানিরা বলছেন, পাইকারিতে দাম বেশি পড়ায় বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। বাজার তদারকিতে সরকার আরও কঠোর হলে বেঁধে দেয়া দামেই পণ্য পাওয়া সম্ভব বলে মত ভোক্তাদের।
রমজানের শুরুতেই অস্বভাবিকভাবে বাড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। তাই সাধাারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে গেল ১৫ মার্চ ২৯ পণ্যের দাম বেধে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৭৫ টাকা, গরুর মাংস ৬৬৫ টাকা এবং খাসি ১০০৩ টাকা নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু সোমবার কারাওয়ার বাজারে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ২১০, ৭৫০ এবং ১১০০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলেন, “সরকার যে রেট দিয়েছে এটা ঠিক আছে। কিন্তু ওই রেটে তো আমরা কিনতে পারিনা। ওই দামে বাংলাদেশের কোথাও গরু নাই।”
কাতল মাছ ৩৫৩ টাকা এবং পাঙ্গাস মাছ ১৮০ টাকা কেজি বেধে দিলেও বিক্রি হচ্ছে এর চেয়ে বেশি দামেই।
৯৮ টাকা ছোলা ১০৫ টাকায়, ১৬৫ টাকার মুগডাল ১৯০ টাকা, ১০৫ টাকার নিম্নমানের মসুর ডাল ১১০ টাকা, ৯২ টাকার খেসারির ডাল ১৩০ টাকা এবং ৩২৭ টাকা বেধে দেয়া শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে।
মুদি দোকানদার জানান, সরকার ১৫৬ টাকা মুগ ডালের দাম বেঁধে দিয়েছে কিন্তু এই টাকায় বড় মুগডাল পাওয়া যায়। চিকন যে সোনামুগ সেটা পাওয়া যায় না।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা বেধে দেয়া দামে বিক্রি হলেও এখনও কেজি প্রতি ১০ টাকা বেশি আলুর দাম। অন্যদিকে বেগুন, সিম, টমেটো, বাধাকপি, ফুল কপির মতো সবজির দাম গত কয়েকদিনে অনেকটা কমলেও এখনও বেধে দেয়ার দামের চেয়ে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে খুচরা পর্যায়ে।
জাইদী খেজুর ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকায়। বিক্রেতা জানান, আমরা তো এই দামে কিনতে পারিনি।
সাধারণ মানুষ বলছেন, দাম বেধে দেয়াটা ইতিবাচক, কিন্তু তা কার্যকর হওয়া প্রয়োজন।
ক্রেতারা জানান, সরকার যে দাম বেঁধে দিয়েছে ওই দামে পাচ্ছিনা কিছুই।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরও কঠোর তদারকি চান ভোক্তারা।
এএইচ