ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শেখ মুজিব কেবল বাংলাদেশের বন্ধু নন, তিনি ভারতেরও বন্ধু’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩৭ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৪ সোমবার

বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকাল মৃত্যু না হলে এই উপমহাদেশে রাজনীতির ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো বলে মনে করেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বতোঃস্ফূর্ত জননেতা হতে পেরেছিলেন এবং সর্বসাধারণ একাগ্রচিত্তে তাকে নেতা হিসাবে মেনে নিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আলোচনার কোন মানে হয় না। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ।’ ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রোববার তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য শাহিদুল হাসান খোকন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ’বঙ্গবন্ধু’ উপাধী তিনি ১৯৬৯ সালে পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকেই মানুষ আগে থেকেই নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিলো। শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হত না।  বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণে বাঙ্গালী জাতির  অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর উপর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি নজরুল ইসলাম এর একটা বিরাট প্রভাব ছিলো। তাই কবিগুরু লেখা “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি” গান তিনি  বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আজকের বাঙ্গালীদের অনেক শেখার আছে।

আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সকালে হাই কমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন। স্থানীয় একটি হোটেলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
 
সহকারী হাই কমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা। শত বছরের শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনা ও পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে তিনি পথহারা বাঙালি জাতিকে   মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। সহকারী হাই কমিশনার বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক ও মানবিক গুণগুলো শিশুদের মধ্যে প্রোথিত করে সুন্দর আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার আহবান জানান। অন্যান্যের মধ্যে ত্রিপুরার শিক্ষাবিদ ড. মোস্তফা কামাল, মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত সাংবাদিক ও লেখক স্বপন ভট্টাচার্য  বক্তব্য রাখেন।
 
সন্ধ্যায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে বিশেষ কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা, প্রবন্ধ ও গানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।    
 
দিবসটি উপলক্ষে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাংঙ্গন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় অতিথিবৃন্দ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আল আমিন জামিলসহ কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীগণ ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্টজনসহ শিশু-কিশোররা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।