মিরসরাইয়ে ‘ভুল চিকিৎসায়’ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জেনারেল হাসপাতালে সালমা আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত সালমা আক্তার শুরু থেকে এই হাসপাতালে ডা. শারমিন আয়েশা আক্তারে চিকিৎসা নিয়ে আসছেন। নরমাল ডেলিভারির জন্য হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী টাকা দিয়ে রেজি. করে ডাক্তারে পরামর্শে নিয়ে চলাফেরা করছিলেন।
গত ১৪ মার্চ বিকালে নরমাল ডেলিবারি শেষে সন্তান প্রসব করলে নিহত গৃহবধূর সালমার অবস্থার অবনতি হয়। পরে রাতে জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল (চমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
নিহত সালমা উপজেলার ইচাখালী ইউনিয়নের সাহেবদি নগর গ্রামের ইদ্র্রিস মিয়ার বাড়ির কুয়েত প্রবাসী নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী। এই দম্পত্তির নাজমিন সুহানা নামের ৬ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
সালমার বোন সানজিদা আক্তার বলেন,‘আমার বোনের মত আর দশ পরিবারের এই ক্ষতি যেনো না করে মিঠাছরা জেনারেল হাসপাতাল। শুরু থেকে ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা করে আসছে। মৃত্যুর পরে জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ বলে আমার বোনের জরায়ুতে টেউমার থাকায় মৃত্যু হয়েছে। টেউমার যদি থাকতো তারা আগে বলেনাই কেনো? সন্তান ডেলিভারির পরে কেনো বলতেছে।’
কান্না জড়িত কন্ঠে সালমার মা আকলিমা বেগম বলেন,‘সন্তান প্রসবের পরে মেয়ে আমাকে জানালা দিয়ে ডাকে। হাসপাতালের লোকজন ডুকতে দেহনাই। সন্ধ্যা হলে আমার মেয়েকে ওরা রক্ত দেয়। পরে বলতেছে মেডিক্যালে পাঠাতে হবে। মেয়ের মৃত্যুর পরে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদকে জিজ্ঞাসা করলে উনি কোনো উত্তর দিতে পারেনি। আমি আমার মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিঠাছরা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. মাসুদ বলেন, ‘আমার এখানে মারা যায়নি। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে মারা গেছে। সাড়ে ১১টায় নরমাল ডেলিভারি হয় এই রোগীর। পরে ব্লিডিং দেখে আমরা সেলাইন দিয়ে মেডিক্যালে রেফার্ড করি।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিনকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ