দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী খোকসা ব্যাংগাড়ীয়ায় মহানাম যজ্ঞ
রঞ্জন ভৌমিক
প্রকাশিত : ১০:২৪ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৪ বুধবার
সভ্যতা ও সংস্কৃতি তিলে তিলে গড়ে ওঠে । কালের সাক্ষী হিসেবে বহন করে সভ্যতা । খোকসা রেলস্টেশন থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সবুজের শ্যামলের বেষ্টিত নয়ন অবিরাম ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান মন্দির । ২৩০ শতক জমির উপর রয়েছে দৃশ্যমান মন্দির, শ্মশান ,গোলঘর ,অফিস রুম, দোতলা বিশিষ্ট আবাসন, রান্নাঘর এবং সানের বাঁধানো পুকুর এবং মানবিক সাহায্য সংস্থা এইচ এ এইচ আর । ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান প্রতিষ্ঠিত হয় ১২৭৯ বঙ্গাব্দে ।
দেশ মাতৃকা বিশ্বের সকল প্রাণীর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় আজ রাতে অধিবাসের মধ্য দিয়ে ২৪ প্রহরব্যাপী নাম যজ্ঞ আজ থেকে শুরু হয়েছে । আগামী ২৩ মার্চ কুঞ্জ ভঙ্গ নগর কীর্তন ও মধ্যাহ্ন শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর ভোগারাধনা । ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান কমিটির পক্ষ থেকে এবারেও প্রতিদিনই ভক্তবৃন্দের জন্য মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের সমারোহে প্রাচীন এই মহাশ্মশান প্রাঙ্গণ সনাতন ধর্মালম্বীদের মহামিলনের এক তীর্থ ক্ষেত্র । এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি মানবিক সাহায্য সংস্থা এইচ এ এইচ আর কমিটি রয়েছে । এই কমিটি দেশে-বিদেশে মানবতার সেবায় অবদান রেখে যাচ্ছে ।
এই মানবিক সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী দিলিপ কুমার সেন । প্রতি শুক্রবারে চম্পা রানী বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে গীতা শিক্ষা করানো হয় । ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার সন্ন্যাসী এবারের নাম যজ্ঞ উপলক্ষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ।