ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস, বছরে ৩ লাখ মানুষ আক্রান্ত বাংলাদেশে

মিনালা দিবা

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ এএম, ২৪ মার্চ ২০২৪ রবিবার

বছরে বাংলাদেশে প্রায় তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হন মরণব্যাধি যক্ষ্মায় এবং মারা যান প্রায় ৩০ হাজার। তবে, চিকিৎসকরা বলছেন, দ্রুত শণাক্ত করতে পারায় দেশে কমছে যক্ষা রোগী এবং মৃত্যুহার। চিকিৎসায়ও সাফল্য ৯৫ শতাংশ। তারপরও এতো মৃত্যুর কারণ, অসচেতনতায় নিয়মিত ওষুধ না খাওয়া। এই বাস্তবতায় গণসচেতনতা বাড়াতেই আজ রোববার উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। 

টাঙ্গাইলের গৃহবধূ আয়েশা বেগম। বয়স ৬৫ বছর। বুকে ব্যাথা শ্বাসকষ্ট নিয়ে দশ দিন ধরে ভর্তি রাজধানীর শ্যামলীতে ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালে। পরীক্ষায় ধরা পড়েছে প্রাণঘাতি যক্ষ্মা। 

গোলাম কিবরিয়া, অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি চাকরিজীবী। এক বছর আগে নিউমোনিয়া রূপ নেয় যক্ষ্মা রোগে। তার শরীর এখন হাড্ডিসার। 

দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালটিতে অনেকদিন ধরে আছেন আরও বেশ কয়েকজন রোগী।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফুসফুসকে আক্রান্ত করে সংক্রামক এই রোগটি। রোগীর কাঁশি বা হাঁচির সময় মুখ ও নাক  থেকে নির্গত বায়ুর মাধ্যমে ছড়াতে পারে অন্যদের শরীরেও। রোগীদের তাই বিশেষায়িত হাসপাতালে বা আলাদা রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। ওষুধও খেতে হয় দীর্ঘদিন নিয়মিত এবং নিয়ম মেনে। 

অথচ প্রথমবার আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগী সুস্থ বোধ করলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। ফলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়া এবং অনাকাঙ্খিত মৃত্যু রয়ে গেছে এখনো। 

তবে, দ্রুত শণাক্ত এবং সময়মতো ব্যবস্থা নিতে পারায় একসময়কার মহামারি রোগটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে- দাবি চিকিৎসকদের। 

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমরা যক্ষা নির্মূল করতে পারি’। এরই আলোকে রোগটির পুরোপুরি নির্মূলে গণসচেতনতার পাশাপাশি শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলারও তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

এএইচ