ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

পুলিশের সাহসিকতা: ছদ্মবেশে ডাকাত ধরলেন, কামড় খেয়েও ছাড়েননি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:০৬ এএম, ২৪ মার্চ ২০২৪ রবিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছদ্মবেশে জীবন মিয়া (৫০) নামে এক ডাকাতকে ধরে কাঁধে করে তুলে আনেন পুলিশ সদস্য। ছাড়া পাওয়ার জন্য কামরালেও হাল ছাড়েনি পুলিশ।

গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি জমি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জীবন মিয়া হরিপুর গ্রামের হুরন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি সে মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি করতে শুরু করে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। জীবনকে গ্রেপ্তারের দায়িত্বে থাকা নাসিরনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রুপন নাথ আরও একজন কর্মকর্তা ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছে। তখন পুলিশ সদস্যরা সেখানে সাদা পোশাকে অবস্থান নেয়।

এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে জীবন ও তার সঙ্গীদের কাছে ইফতার করার জন্য পানি চান। তখন এক পর্যায়ে জীবনকে আটক করে পড়ানো হয় হাতকড়া। এ সময় জীবন মিয়া পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ও ধস্তাধস্তি করে হাতকড়া নিয়েই দৌড়ে পালায়। পুলিশ সদস্যও ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে। 

এক পর্যায়ে এএসআই মোঃ কামরুল তাকে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।

এ ব্যাপারে এসআই রূপন নাথ জানান, পাঁচজন মিলে এ অভিযান চালানো হয়। জীবন খুবই ধুর্ত। সে পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় রানা নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জীবন ডাকাত খুবই ধূর্ত প্রকৃতির। তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছিলো না। গোপন সংবাদে এ অভিযান চালানো হয়। 

শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এএইচ