মোংলায় জাল দলিলে জমি বিক্রি করতে গিয়ে জেলে গেলেন তারা
মোংলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:৩১ এএম, ৩০ মার্চ ২০২৪ শনিবার | আপডেট: ১০:৩৫ এএম, ৩০ মার্চ ২০২৪ শনিবার
প্রতারণার মাধ্যমে মোংলায় জাল দলিল তৈরি করে জমি বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে জাল তৈরি করে জমি বিক্রির অভিযোগে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শিউলি আকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করেন উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার স্বপন কুমার দে।
তবে এ মামলায় তিনজন গ্রেফতার হলেও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন, মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা এলাকার হরসিদ রায়ের পুত্র তারাপদ রায় ও দুর্গাপদ রায়কে মালিক বানিয়ে এই দুইজনের নামে পৌর মহিলা কাউন্সিলর শিউলী আকন, প্রদীপ মন্ডল ও মাহবুব মাষ্টরসহ কয়েকজন মিলে পাঁচ একর ৫৬ শতক জমির প্রতারণার মাধ্যমে জাল দলিল তৈরি করেন। গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর সড়ে ১১টার দিকে সেই জমি কবলা দলিল মূলে বিক্রি করতে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যায় এ প্রতারক চক্রটি।
সরকারী এক নম্বর বইয়ের ক্রমিক নং-১৮৭, দলিল নং-১৮৫, খাজনা পরিশোধের রশিদ ও সকল সই মহরকৃত জাল কাগজের ফটোকপি মোংলা রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দেয় এ চক্রের সদস্যরা।
সাব রেজিষ্ট্রার স্বপন কুমার দে আসামিদের দাখিলকৃত দলিল ও সরকারি সকল কাগজপত্র যাচাইকালে তা রেজিস্ট্রি অফিস এজলাসেই জাল ও ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় প্রতারক চক্রের তারাপদ রায়, দুর্গাপদ রায় ও প্রদীপ মণ্ডল নামের এ তিনজনকে হাতে-নাতে আটক রাখেন। এ সময় পৌর নারী কাউন্সিলর বাকীরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে জাল কাগজপত্র তৈরি ও ভূয়া দলিলে জমি বিক্রির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে মোংলা সাব রেজিষ্ট্রার স্বপন কুমার দে বাদী হয়ে আটক তিন জনসহ মোংলা পোর্ট পৌরসভার (সংরক্ষিত ৭,৮,৯) মহিলা কাউন্সিলর শিউলী আকন, দালাল মাহবুবুর রহমান শেখ, ইলিয়াস মৃধা ও দিপা তরফদারসহ সাত জনের নামে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করেন এবং আটক তিনজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আটক তিনজনকে শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান সহকারী পুলিশ সুপার।
এএইচ