ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৩:০১ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৪ রবিবার

লক্ষ্মীপুরে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছে বেঙ্গল স্যু ইন্ড্রাষ্টিজ কারখানার শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ দাবি না মানায় প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কের রায়পুর রাখালিয়া বাজারে ওই কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। 

এদিকে রাস্তা বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন। খবর পেয়ে রায়পুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

এর আগে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে কারখানার ম্যানেজার সাইফুল কবির, সিনিয়র প্রডাকশন ম্যানেজার নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এমরান খান ও পুলিশ সুপার সার্কেল শেখ সাদি। বৈঠকে শ্রমিকদের রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের ব্যাংক হিসেবে এক মাসের বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেন। একই সাথে বোনাসের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা হবে বলে জানান। তবে লিখিত কোন আশ্বাস না পাওয়ায় শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের এ আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করেন।

শ্রমিকরা জানান, একজন শ্রমিক ৯ মাস, ৬ মাস, ৩ মাস ও ২ মাস-সহ ওভারটাইম বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে হঠাৎ নোটিশ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে আজ ৩০ মার্চ সকাল ৮টা থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। যার প্রেক্ষিতে সকালে রায়পুর বেঙ্গল সু কারখানায় তালা ঝুলানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে শ্রমিকরা।

পরে ইউএনও, সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর উপস্থিতিতে মালিকপক্ষ-শ্রমিকপক্ষের মধ্যে লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সর্বশেষ দুপুর পৌনে ১২টায় রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেন। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার রায়পুর সার্কেল, রায়পুর থানার ওসি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মালিকপক্ষ-শ্রমিকপক্ষের লিখিত যৌথ চুক্তি পড়ে শোনান।

ইউএনও মালিক পক্ষের সাথে ফোনালাপ ও মালিক-শ্রমিকপক্ষের চুক্তির রেফারেন্স দিয়ে জানান, রোববার ৩১ মার্চ শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারী মাসের বেতনের সাথে ঈদ বোনাসের ২৫ শতাংশ এবং ঈদের পরে মার্চ মাসের বেতনের সাথে অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ দেয়ার কথা জানান। উপস্থিত একাংশ এ ঘোষণা না মেনে রাস্তায় বসে পড়ার চেষ্টা করেন এবং পুলিশের প্রতি ইটের কনা নিক্ষেপ করেন। 
এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে নারী কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে রাস্তা থেকে নামিয়ে দেয়। এরপরই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে।

এমএম//