কদরের রাতে খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে তুলে নিলো প্রবাসীর স্ত্রীকে
ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:১০ এএম, ৭ এপ্রিল ২০২৪ রবিবার | আপডেট: ১০:১৪ এএম, ৭ এপ্রিল ২০২৪ রবিবার
ফেনীতে কদরের রাতে খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘণ্টাখানেক খোঁজাখুঁজির পর ধানক্ষেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
রোববার রাত আড়াইটার দিকে ফুলগাজীর জিএমহাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে সৌদি প্রবাসী ফারুকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা ত্রিফল নাইনে ফোন দিলে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে ক্ষেতের মাঝখান থেকে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে অবস্থার অবনতি হলে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, রাত ২টার দিকে ফাতেমা লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়ছিল এসময় নাকে পোড়া গন্ধ পেয়ে তার মেয়েদের ডেকে নিয়ে ঘরের বাহিরে এসে দেখেন খড়ের গাদায় আগুন জ্বলছে। তাদের শৌর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে আগুন নিভাতে, এর ফাঁকে বাহিরে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা সকলের অগোচরে প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমাকে তুলে নিয়ে যায়।
স্বজনরা তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখোজি করে, তাকে না পেলে সরকারের জরুরি সেবা ত্রিফল নাইনে কল দিয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘন্টাখানেক খোঁজাখোঁজির পর ধানক্ষেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফাতেমাকে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসা জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, পাশের বাড়ি খোকন মজুমদারের সাথে জায়গা জমির বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. রায়হান উদ্দিন চৌধুরী জানান, ফুলগাজী থেকে ফাতোমা নামে একজন রোগীকে মুমূর্ষ অবস্থায় আনা হয়েছে। তার মাথায়, হাতে, পায়ে ও গায়ে বেশ কিছু স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্তি রক্তের ক্ষরণের কারণে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে জায়গা জমির বিরোধের জেরে গত ২৯ মার্চ প্রবাসী ফারুক আহম্মেদের বাড়িতে রাতে হামলার ঘটনায় আমিনুর রহমান মজুমদার প্রকাশ খোকনের বিরুদ্ধে ফুলগাজী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর স্ত্রী।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।
এএইচ