ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

একুশে টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

প্রণব চক্রবর্তী

প্রকাশিত : ০৬:২৩ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ রবিবার | আপডেট: ০৬:৪৪ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ রবিবার

চব্বিশ পেরিয়ে পঁচিশে পা রাখলো একুশে টেলিভিশন। বাঙালির চিরায়ত উৎসবের দিনে একুশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানালেন মন্ত্রী, এমপিসহ বিশিষ্টজনেরা। জন্মদিনের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে চলায় প্রত্যয় ব্যক্ত করে একুশে টেলিভিশন। 

একুশে টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

দুপুর ১২ টার সময় কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এ. চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাংসদ আরমা দত্ত, ঢাকা দশ আসনের সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ।

এছাড়া ইসলামি ব্যাংকের ব্র্যান্ডিং বিভাগের প্রধান মো. নজরুল ইসলাম, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব মামুল আল মাহমতাব স্বপ্নীল, আলোক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন, ক্যাপিটাল মার্কেট এসোসিয়েশনের প্রসিডেন্ট সাইদুর রহমান, পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিমান চন্দ্র বড়ুয়া ও রফিকুল ইসলাম, বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সভাপতি সৌম্যব্রত, কলকাতা বাংলা পোর্টাল 'বাঙ্গালী নামা'র কর্ণধার সোনালি পাল।

এটিএন বাংলার পরিচালক তাশিক আহমেদ, র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন, অতিরিক্ত আইজিপি ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) ডিএমপি, কে. এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত আইজিপি ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) ড. খোন্দকার মুহিত উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া ইনামুল হক সাগর, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট অভিনেত্রী জয়শ্রী কর জয়া এবং বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ উপস্থিত ছিলেন।

দর্শক জনপ্রিয়তায় সব সময় শীর্ষে একুশে টেলিভিশন। তাইতো একুশকে যারা ভালোবেসে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ছুটে আসেন শুভানুধ্যায়ীরা। 

একুশের চেতনা ছড়িয়ে যাবে সবখানে- সেই প্রত্যাশা শুভাকঙ্খীদের।

শুভেচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, একুশে টেলিভিশনের কলাকৌশলী এবং অসংখ্য দর্শকমণ্ডলীকে শুভ অভিনন্দন জানাচ্ছি।

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, হায়েনাদের ছোঁবল ছিল একুশে টেলিভিনের উপর। সকল কিছু অতিক্রম করে এগিয়ে চলছে একুশে টিভি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সর্বাঙ্গিনভাবে আমাদের সঙ্গে কাজ করতো, বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করতো। আমি মনে করি, দেশের অগ্রযাত্রায় তাদের বিরাট অবদান আছে।

সগৌরবে একুশের এ যাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে সে আশার কথাও জানান বিশিষ্টজনেরা।

পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আজকে আমরা নতুনভাবে বরণ করে নিচ্ছি এবং একুশের পরিবারের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। 

নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেক চড়াই-উৎড়াইর মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির সাংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে একুশে টেলিভিশন। 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত বলেন, বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকারদের পতাকা দিয়ে মন্ত্রি পরিষদে নেয়া হয়েছিল, তখনেই আমরা বুঝেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের সকল দরজা বন্ধ করার অপচেষ্টা নেয়া হবে। তারই অংশ হিসেবে একুশে টিভি বন্ধ হয়েছিল। আমি মনে করি, সে অপকর্মগুলোর সাক্ষী হিসেবে একুশে টিভি এখনও দাঁড়িয়ে আছে।

অনুষ্ঠান ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদে একুশে টেলিভিশন থাকবে দর্শক হৃদয়ে। 

এএইচ