ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

চিফ ইঞ্জিনিয়ার সাইদুজ্জামানের পরিবারে ঈদের আনন্দ বইছে

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:২৫ এএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার

সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাত থেকে প্রিয় মানুষের মুক্তির খবরে আবারও নতুন করে ঈদের খুশি বইছে নওগাঁ সাইদুজ্জামান সাঈদের পরিবারে। এখন তাকে দেখার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তার বাবা-মা, স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা। নিরাশা কাটিয়ে পরিবারে ছড়িয়ে পড়েছে খুশির আমেজ।

‘অতীতকে ভুলে গিয়ে আবারও নতুন জগতে প্রবেশ করছি। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক ও আনন্দদায়ক খবর। জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির খবরে আমাদের পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পরিবর্তন হয়ে গেছে।’

কথাগুলো বলছিলেন- একমাস রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মধ্যে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার নওগাঁর সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা প্রফেসর আব্দুল কাইয়ুম ও তার স্ত্রী মান্না তাহরিন। 

তার মুক্তির খবরে পরিবারে ফিরেছে স্বস্তি। 

সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সোমালি জলদস্যুদের হাতে সাইদুজ্জামান সাঈদ আটকের খবরের পর থেকে দিনগুলো যেন বিভীষিকাময় কেটেছে। এর মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর চলে এলেও ঈদের খুশি ছিল না পরিবারে। ছেলের মুক্তির খবর শোনার পর আমাদের পরিবারে স্বস্তি এসেছে। আমাদের বুকের উপর যে পাথর চেপে ছিল, সেটি নেমে গেছে। এই খবর শোনার পর ঈদের যে আনন্দ আমরা নতুন করে উপভোগ করছি।

সাইদুজ্জামান সাঈদের স্ত্রী মান্না তাহরিন বলেন, রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমাদেরকে ফোনে জানানো হয় মুক্তির খবরটি। পরে সকালে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান জলদস্যুরা তাদেরকে মুক্ত করে দিয়েছে এবং তারা চলে গেছে। এখন ধীরে ধীরে সোমালিয়া উপকূল পার হয়ে দুবাইয়ের দিকে যাওয়া হবে। ২২ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় লাগবে তাদের আসতে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এক মাস খুবই ভয়াবহ বিপদের মধ্যে কেটেছে। আসলে বাইরের এটা কেউ বুঝবে না। তাদের মুক্তির খবর শোনার পর খুবই ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। এখন সুস্থভাবে যত দ্রুত বাড়ি ফিরবে আমরা ততই স্বস্তি পাব।

আটক নাবিকদের দ্রুত পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কোম্পানি ও সরকারের প্রতি দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। ওই জাহাজের ২৩ জনের মধ্যে  নওগাঁ শহরের আরজী নওগাঁ- শাহী মসজিদ ফিসারি গেট এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে সাইদুজ্জামান সাঈদ  জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।

এএইচ