ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

নাটোরে ঠিকাদারির টাকা ভাগাভাগী নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৫৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৫৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার

নাটোরে ঠিকাদরী কাজের টাকা ভাগাভাগী নিয়ে নাটোর পৌরসভা চত্তরে যুবলীগ নেতা হাসানুর রহমান হাসু ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরো গ্রুপের সংঘর্ষে সিহাব হোসেন শিশির (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় হাসানুর রহমান হাসু গ্রুপের হাসু (৪০) আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিল রোকনুজ্জামান হিরো এবং ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

আজ মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে নাটোর পৌরসভা চত্তরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সিহাব হোসেন শিশির শহরের মল্লিকহাটি মহল্লার মোজাহার আলীর ছেলে ও কাউন্সিলর হিরোর সমর্থক।

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, দুপুরে পৌরসভার ভিতরে হত্যাকান্ডের খবর শুনে পৌরসভা এবং হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, পৌরসভার দ্বিতীয় তলায় ঠিকাদারীর কাজের টাকা ভাগাভাগী নিয়ে কাউন্সিলর হিরো ও হাসুসহ দুই গ্রুপের কয়েকজনকে নিয়ে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী আলোচনা করছিলেন। এ সময় পৌরসভা চত্তরে দুই গ্রুপের তাদের সমর্থকদের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। 

মীমাংসার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরো ও হাসু সেই স্থান ত্যাগ করেন। তারা পৌরসভা চত্বরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে অস্ত্র নিয়ে হামলা পাল্টা হামলা হলে ঘটনাস্থলে শিশির গুরুতর আহত হন। 

স্থানীয়রা আহত শিশিরকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনার পর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরো ও আহত যুবলীগ নেতা হাসুকে পুলিশ আটক করে চিকিৎসাধীন রেখেছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জানান, ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য আমি এবং আমার কাউন্সিলররা একসঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু উভয়পক্ষই আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে না নেয়ায় তাদের পৌরসভার ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেই। পরে বাইরে বের হয়ে গিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনটাই প্রত্যাশা করেন মেয়র।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনা শুনেছি। পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে পরামর্শ দিয়েছি।

এএইচ