কৃষি জমি সুরক্ষায় দ্রুত আইন পাসের পরামর্শ হাইকোর্টের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:১২ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ বুধবার
কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন, ২০১৬ অতি দ্রত আইন আকারে পাস করার জন্য জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
রায়ে আদালত বলেছেন, ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিধিনিষেধ আরোপ করে ‘কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন, ২০১৬’র খসড়া আইন প্রণয়ন করা হলেও কোনো এক অজানা কারণে এটি এখনও আলোর মুখ দেখছে না।
রায়ে আরও বলা হয়, দেশের কৃষি জমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ইত্যাদি সুরক্ষার জন্য আইনটি দ্রত জাতীয় সংসদ কর্তৃক পাস হওয়া অতি আবশ্যক।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পরামর্শ প্রদান করেছেন। ১৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই রায় ও আদেশের অনুলিপি জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যদের সব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে ই-মেইলে পাঠাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেন আদালত।
২০১৯ সালে নওগাঁর মো. মিজানুর রহমান পুকুর খননের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক, নওগাঁ বরাবর দরখাস্ত দাখিল করেন। নওগাঁর জেলা প্রশাসক আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় মিজানুর রহমান হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল পুকুর খনন বন্ধে নোটিশ কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২ জুন পুকুর খনন বন্ধে নোটিশ বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এরই ধারাবাহিকতায় রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করলেন হাইকোর্ট।
এএইচ