ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সহসাই কমছে না তাপপ্রবাহ, আরও বাড়ার শঙ্কা

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১০:০৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১২ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৃহস্পতিবার

সহসাই কমছে না তাপপ্রবাহ। খুলনা-রাজশাহীতে দাবদাহ আরও বাড়ার শঙ্কা আবহাওয়া বিভাগের। তীব্র গরমে নানা রোগে আক্রান্ত সাধারণ মানুষ। অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ চিকিৎসকদের। 

দুই সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, চরম পর্যায়ে গরম। অসহ্য হয়ে গেছে গরম।

বৃহস্পতিবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, “তুলনামূলকভাবে যে তাপপ্রবাহের এলাকা সেখানে আজকে কিছুটা কম থাকতে পারে। আগামীকাল থেকে তাপপ্রবাহের এলাকাটা আরও বেড়ে যেতে পারে।”

তীব্র তাপপ্রবাহের মাঝেই সর্দি-জ্বর, পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই যাচ্ছেন হাসপাতালে। মহাখালীর কলেরা হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। 

তাপদাহ অব্যাহত থাকলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের।

আইসিডিডিআর’বি শিশু বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. ফারজানা আফরোজ বলেন, “এসময় দেখা যায় ডায়রিয়া নিয়ে রোগী ভর্তি হয় কিন্তু এবার রোজা ও ঈদের কারণে রোগীর সংখ্যাটা এখনও কম আছে।”

দুপুরের রোদ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ তাদের।

ডা. ফারজানা আফরোজ বলেন, “যতোটা সম্ভব ঘরের ভেতরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। যখন ঘরের বাইরে যাবে তখন ছাতা ব্যবহার করতে হবে, ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে। প্রসাবের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী কয়েকদিনে দাবদাহের ব্যাপ্তি ও মাত্রা আরও বাড়তে পারে। তাই সচেতন থাকার পরামর্শ তাদেরও।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, “যারা মাঠে কাজ করে বিশেষ করে দুপুর ৩টা থেকে বিকাল পর্যন্ত যতোটা সম্ভব ছায়ায় অবস্থান করবে এবং পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।”

শ্রমজীবী, দিনমজুর ও কৃষকদের বেশি সচেতন থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।  

এএইচ