আমিরাতের বন্দরে জাহাজ আব্দুল্লাহ্, ছুটে গেলেন মালিকপক্ষ
রফিকুল বাহার, চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত : ১০:৫৬ এএম, ২২ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার
সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামিরাহ্ বন্দরে পৌঁছেছে সোমালিয় জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি কয়লাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ্’। নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই বহির্নোঙরে ভেড়া জাহাজের ২৩ নাবিকও সুস্থ আছেন। আজ দুপুরের দিকে জাহাজটি বন্দরের মূল জেটিতে পৌঁছবে।
জিম্মিদশার শ্বাসরুদ্ধকর ৩২ দিন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেভালগার্ডের পাহারায় সমুদ্রপথে আরও ছয়দিন। অবশেষে রোববার বিকাল সাড়ে চারটায় নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’।
চট্টগ্রামের শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজটি এখন হামিরাহ্ বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায়। নাবিকদের স্বাগত জানাতে গতরাতেই দুবাই রওনা হয়েছেন মালিকপক্ষ।
কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার রাহাত বলেন, “চট্টগ্রাম আসবে, কবে আসবে সে বিষয়টা আমরা আরও নিশ্চিত হতে পারবো কিছুদিন পর। পরে মিডিয়াকে জানানো হবে।”
মোটা অংকের বীমা করা ছিল জাহাজটির। নিজেদের পাওনা নিশ্চিতের পর জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে চলে আসার সুযোগ ছিল মালিকপক্ষের। কিন্তু নিজেদের ব্যবসার ভবিষ্যত ও নাবিকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সেপথে হাঁটেননি তারা।
কেএসআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, “আমরা একটা পরিবারের মতো কাজ করি ২৪টা জাহাজের ১২-১৩শ’ নাবিক। যতো তাড়াতাড়ি ওদেরকে আনতে পারবো, এই মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারবো এটাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য।”
জাহাজে অবস্থান করে চট্টগ্রামে ফিরবেন ২১ জন নাবিক। বাকি দুজন ফিরবেন দুবাই থেকে। চার্টার্ড জাহাজটির আসার দিনক্ষণ নির্ধারণ করবে দীর্ঘসময় ভাড়া নেয়া কোম্পানি। জাহাজে অবস্থান করলে চুক্তি অনুসারে প্রচুর অর্থ উপার্জন করবেন নাবিকরাও।
৫৫ হাজার মেট্রিকটন জ্বালানি কয়লা নিয়ে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল অতিক্রমের সময় আলোচিত এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এএইচ